১৪৩০ সাল চলে গেল, এল ১৪৩১৷ স্বাগত জানাই আর একটা নতুন বছরকে, যাকে আমরা বলি ‘নববর্ষ’৷ নববর্ষ মানেই কমবেশি সকলেরই কিছু কিছু আলাদা আলাদা আনন্দ অনুভূতি৷ কারণ, ছেলেবেলা থেকেই নববর্ষ সম্পর্কে আমাদের যে ধারণা গড়ে ওঠে তারই ফলশ্রুতি হিসেবে পয়লা বৈশাখে মনের রূপ পরিবর্তন ঘটে৷ তাই বারো মাস অপেক্ষা করে থাকতে হয় শুধু এই দিনটির জন্য৷
নববর্ষ অবশ্য সর্বত্রই একসঙ্গে দেখা যায় না৷ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে নববর্ষ শুরু হয়৷ যেমন, উত্তর ভারতে বিক্রম সংবর্ত শুরু হয় চৈত্র মাসের শুক্লা প্রতিপদে, শকাব্দের চান্দ্রবর্ষ শুরু হয় শুক্লা প্রতিপদে, আর সৌরবর্ষ কৃষ্ণা প্রতিপদে৷ দক্ষিণ ভারতে বাহস্পত্য বর্ষ প্রচলিত আছে৷ সেটি শুরু হয় বৈশাখের কৃষ্ণা প্রতিপদে৷ কেরলে কেল্লোমে বর্ষ শুরু হয় ভাদ্র মাসের কৃষ্ণা নবমীতে৷ গুজরাতে দেওয়ালির দিনে, তামিলনাড়ু ও অসমে পয়লা বৈশাখ থেকে অর্থাৎ বাংলা নববর্ষের দিন থেকেই৷ বিভিন্ন যুগেও নববর্ষ শুরু হত বিভিন্ন দিনে৷ যেমন, সত্যযুগে নববর্ষ শুরু হত বৈশাখের শুক্লা তৃতীয়া অর্থাৎ অক্ষয় তৃতীয়াতে, ত্রেতাযুগে কার্তিকের শুক্লা নবমীতে, দ্বাপরে ভাদ্র কৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে এবং বর্তমানে অর্থাৎ কলিযুগে শাস্ত্রানুযায়ী নববর্ষ শুরু হওয়া উচিত মাঘী পূর্ণিমা থেকে৷ কিন্তু তা না হয়ে মাঘী পূর্ণিমার পরিবর্তে আমরা পয়লা বৈশাখ থেকেই নববর্ষের প্রথম দিন হিসেবে মেনে আসছি বঙ্গাব্দের শুরু থেকেই৷ অবশ্য এই মেনে চলার পেছনে যথেষ্ট কারণও আছে৷
মুঘল সম্রাট আকবর রাজস্ব সংগ্রহের অসুবিধার জন্য হিজরি সন অনুযায়ী তারিখ ইলাহি নামে একটি নতুন কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করেন৷ কিন্তু বাঙালিরা তা পুরো মানেননি৷ বস্তুত আকবর টোডরমলের মাধ্যমে এই নতুন বর্ষ সংস্কার করার চেষ্টা করেন যখন, তখন হিজরি সনের ৯৬৩ বছর অতিক্রান্ত হয়েও তিনমাস বেশি হয়ে গেছে৷ বাঙালিরা আকবরের হিজরি সনের সংখ্যাটা মেনে নিল বটে, কিন্তু সেই সনের গোড়া থেকে বর্ষগণনা শুরু করেনি৷ তারা এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি অর্থাৎ বৈশাখের প্রথম থেকে বঙ্গাব্দের গণনা শুরু করে৷ তাই হিজরি বর্ষ সংখ্যা ৯৬৩ একেবারে সোজাসুজি বসে গেল বঙ্গাব্দের মাথার ওপর অর্থাৎ, বঙ্গাব্দ জন্মমাত্রেই ৯৬৩ বছর বয়স নিয়েই পৃথিবীতে পদার্পণ করে৷
হিজরি সন (চান্দ্রমাস)-কে বাদ দিয়ে সৌর মাসে বছর গণনার (বঙ্গাব্দ) ভেতরে আকবরের দূরদর্শিতার প্রমাণ পাওয়া যায়৷ চান্দ্রমাসের বছর গণনা হলে শাসনকার্যে বিশেষত খাজনা সংগ্রহে অসুবিধে দেখা দিত৷ আকবর তাঁর শাসনকালে এদেশের ভূমি ব্যবস্থার ব্যাপক সংস্কার করেছিলেন৷ তাই তিনি কৃষকদের কাছ থেকে খাজনা সংগ্রহের জন্য নীতিবোধে চালিত হয়েছিলেন৷ খাজনা সংগ্রহের সুবিধার জন্য চৈত্র মাস হল শেষ মাস৷ অগ্রহায়ণে ফসল তোলার পর কৃষকদের হাতে আরও চারটি মাস থাকত৷ তখন তারা ফসল বিক্রি করে খাজনা পরিশোধের সময় পেত৷ এই রীতিটি এখনও বজায় আছে৷ আমাদের আর্থিক বছর এপ্রিলেই প্রথম থেকে শুরু হয় এবং শেষ হয় পরবর্তী সনের মার্চ মাসের শেষ দিনে৷ এই সময় বৈশাখ থেকে চৈত্র, অর্থাৎ এপ্রিলের ১৫ বা ১৬ তারিখ থেকে পরবর্তী বছরের ১৪ বা ১৫ তারিখ পর্যন্ত৷ এই তারিখকে পিছিয়ে ৩১ মার্চ করা সম্ভব হয়নি৷ কারণ, বাঙালি কৃষক চৈত্র মাস বোঝে, মার্চ কিংবা এপ্রিলের হিসেব রাখে না৷
“নববর্ষ নিয়ে যতই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হোক না কেন, বাংলায় কিন্তু নববর্ষ পালনের কোনও ধর্মীয় ব্যাখ্যা নেই৷ পুরোহিত দর্পণই বলুন কিংবা ক্রিয়াকাণ্ডবিধিই বলা হোক, দেখা যায় বৈশাখ মাসের কৃত্যগুলির মধ্যে কোথাও পয়লা বৈশাখে নববর্ষ কৃত্য নেই৷ আমরাই দিনটিকে আনন্দে ভরিয়ে তুলতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করি৷”
বঙ্গাব্দ মূলত গ্রামের মানুষের কাছে ব্যবহারিক৷ তাই বঙ্গাব্দের প্রথম দিনটি নিশ্চয়ই তাদের কাছে মূল্যবান৷ নববর্ষ নিয়ে আমাদের ভেতরে যে অনুভূতি সেই অনুভূতি হয়তো আমাদের নিজস্ব নয়৷ আমাদের বর্ষটি হলো কৃষিবর্ষ, তাই সারা বছরই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত থাকে এক একটা লোকোৎসব৷ প্রতিটি উৎসবের ভেতরে, লৌকিক আচরণের সঙ্গে কৃষি সংস্কৃতি ও উর্বরতা সংস্কৃতি জড়িয়ে আছে৷ আমাদের লৌকিক উৎসব হল নিশ্চিন্তে প্রচুর ফসল ফলানোর জন্য প্রকৃতির কাছে আরাধনা করা৷ এগুলির কোনওটি বৈশাখের মাঝামাঝি, কোনওটি জ্যৈষ্ঠে, কোনওটি আষাঢ়ে, শ্রাবণে, ভাদ্রে বা পৌষে হয়ে থাকে৷ চৈত্রের রুক্ষতায় শ্মশানবাসী শিবের উপাসনার ভেতরে রাজস্ব পরিশোধে সর্বস্বান্ত মানুষের চেহারাই যেন দেখা যায়৷ যখন বাংলার নরম প্রকৃতি সাময়িকভাবে কঠিন হয়ে ওঠে, বাঙালি চাষি হয়ে যায় সর্বস্বান্ত, তখন শ্মশানবাসী শিবের আরাধনা যেন বঞ্চিত মানুষের আত্মআরাধনা হয়ে ওঠে৷ তাই আগে ১লা বৈশাখে উৎসব বলতে তেমন কিছু ছিল না৷ যা ছিল সকালবেলা মহিলারা স্নান সেরে ঘরদুয়ার ভালো করে নিকিয়ে, ব্রহ্মাকে দুধ নিবেদন করত, গরুকে স্নান করিয়ে শিঙে তেল মাখিয়ে দিত৷ বাড়িতে সামর্থ অনুযায়ী ভালমন্দ রান্না হত৷ সম্ভব হলে নতুন কাপড়ও কেনা হত৷ তাছাড়া পয়লা বৈশাখে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হালখাতার ব্যবস্থা হত৷ হিন্দুর দোকান থেকে হালখাতার যে চিঠি যেত, তাতে গণেশের ছবি থাকত আর মুসলমানের দোকান থেকে যে চিঠি যেত তাতে থাকত চাঁদ-তারা আর ‘এলাহি ভরসা’ লেখা৷ হিন্দু দোকানে গণেশ পুজো হত আর মুসলমান দোকানে হত কোরান পাঠ৷ গণেশ পুজো আর কোরান পাঠের পর খদ্দেররা এসে বকেয়া টাকা দিত আর দোকানদাররাও তাদের মিষ্টিমুখ করানোর ব্যবস্থা করত৷
আগেকার দিনে নববর্ষের দিন সকালে পাঁচ থেকে সাত-আট বছরের মেয়েরা বিশেষ আনন্দ ও উদ্দীপনার সঙ্গে শুরু করে দিত শিবপূজা ও পুণ্যিপুকুর ব্রত৷ একমাস ধরে প্রতিদিন সকালে চলত এই পুজোর কাজ ও ব্রত৷ এর মধ্য দিয়ে মেয়েদের মধ্যে দেখা যেত অসাধারণ ভক্তি ও নিষ্ঠা৷ মা-ঠাকুমারা তুলসিগাছের ওপর বেঁধে দিতেন ‘ঝারা’৷ এই ঝারা থেকে ফোঁটা ফোঁটা জল ঝরে পড়ত তুলসিগাছের মাথায়৷ এই দিন থেকে সম্পন্ন গৃহস্থেরা শুরু করত তাদের বাড়িতে জলসত্র৷ অর্থাৎ এই জলসত্র থেকে সারা মাস ধরে প্রতিদিন বিতরণ করা হত ভিজে ছোলা, গুড় আর জল৷ এ ছাড়াও পুরোহিতরা এসে বাড়ির মা-মাসিদের সামনে বসে পঞ্জিকা থেকে বর্ষফল পড়ে শোনাতেন৷ কোথাও কোথাও বাড়িতে ধ্বজা তোলা হত৷
নববর্ষ নিয়ে যতই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হোক না কেন, বাংলায় কিন্তু নববর্ষ পালনের কোনও ধর্মীয় ব্যাখ্যা নেই৷ পুরোহিত দর্পণই বলুন কিংবা ক্রিয়াকাণ্ডবিধিই বলা হোক, দেখা যায় বৈশাখ মাসের কৃত্যগুলির মধ্যে কোথাও পয়লা বৈশাখে নববর্ষ কৃত্য নেই৷ আমরাই দিনটিকে আনন্দে ভরিয়ে তুলতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করি৷ তা ছাড়া, পঞ্জিকাতেও এই দিনটি হালখাতা মহরত বা নতুন খাতা পুজোর পক্ষে প্রশস্ত বলে দেখতে পাই৷ অনেকে হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন, এই দিনটি ছাড়া কি হালখাতা হবে না? নিশ্চয়ই হবে৷ এবং হয়েও আসছে৷ যখনই গ্রামবাংলার লোকের হাতে পয়সাকড়ি আসার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে, তখনই দোকানদাররা হালখাতার ব্যবস্থা করেছে৷ কারণ, হালখাতাই হল বকেয়া পাওনা আদায়ের ব্যাপার৷
তবে বর্তমানে নববর্ষের প্রথম দিনে যে আনন্দ অনুষ্ঠানের ঘটা দেখা যায়, তার মধ্যে পাশ্চাত্য প্রভাবই লক্ষ করা যায়৷ কারণ আমরা উৎসবপ্রিয় জাতি হিসেবে নিজেদের স্বীকার করে নিয়েছি৷ ইংরেজরা ইংরেজি নিউ ইয়ার্স ডে-তে কেক কাটে, নতুন পোশাক পরে, গান করে, নাচ করে, হই-হুল্লোড় করে, গ্রিটিংস কার্ড পাঠায়৷ আমরাই বা কেন চুপ করে থাকব? তাই আমরাও মেতে উঠি এই দিনটিতে৷
বঙ্গাব্দ শুরুর আগেও নববর্ষের দিনক্ষণ কিন্তু পরিবর্তিত হয়েছে অনেকবার৷ এই পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যায় আর্যদের আশীর্বাদ বচনের মধ্যে৷ আর্যরা শীতের দেশ ছেড়ে ভারতবর্ষে ঢোকার পরেও আশীর্বাদ করতেন, ‘শতং হিমাঃ’৷ অর্থাৎ একশো শীত বেঁচে থাক৷ এতেই কিছুটা অনুমান করা যায়, তাদের বছর আরম্ভ হত শীতকাল থেকে৷ পূর্বের অভ্যাস ছাড়তে পারেনি বলেই ‘একশো’ শীতের আয়ুষ্কামনা ছিল স্বাভাবিকভাবেই৷ কিন্তু পরবর্তীকালে ভারতের জলবায়ুর প্রভাবে তারা কামনা করেছে, ‘জীবৈমঃ শরদঃ শতম’, অর্থাৎ, ‘একশো’ শরৎ যেন বেঁচে থাকে৷ পণ্ডিতেরা বলেছেন, ভারতে এসে আর্যদের বর্ষগণনা শুরু হলো শরৎকাল থেকে৷
মহাভারত-পুরাণের সময় দেখতে পাওয়া যায়, বর্ষগণনা শুরু হতো মার্গ শীর্ষ অর্তাৎ অগ্রহায়ণ মাস থেকে৷ হায়ণ মানে বছর৷ বছরের আগে যে প্রথম মাস তাকেই বলে অগ্রহায়ণ৷ মহাভারতে যুধিষ্ঠিরের প্রশ্নের উত্তরে ভীষ্ম বলেছেন যে, উপবাসের তালিকা শুরু হয় অগ্রহায়ণ মাস থেকে৷ অগ্রহায়ণ হল হেমন্তকাল, শরতের শেষ, শীতের শুরু৷ এই সময়েই ঘরে ধান ওঠে৷ আর ধান দিয়েই তাঁরা ধার পরিশোধ করতেন৷ তাই অগ্রহায়ণ মাসই ছিল বছরের প্রথম মাস৷ এজন্য গীতায় আমরা দেখতে পাই—‘মার্সানাং মার্গশীর্ষোমি ঋতুণাংকুসুমাকরঃ৷’ তখন কিন্তু তারিখের চেয়ে তিথি-নক্ষত্রের প্রাধান্য ছিল৷ তিথি-নক্ষত্র ধরে অগ্রহাযণের নববর্ষে যে কাজগুলি হতো তা হল —সাধারণ লোক ধান কাটাই-মাড়াই করত, জমিদার-জোতদারেরা ধান গোলায় ভরত, মহাজনরা, সুদ-সহ ধার শোধ করে নিত, রাজারা রাজস্ব আদায় করত৷ এই সুসময়ে কিছু বামুন সাধারণ লোকদের বললেন, অঘ্রাণ মাসের শুক্লাপক্ষের প্রতিপদে আরম্ভ করে চান্দ্রব্রত৷ পুণ্যাহ্ বচন উচ্চারণ করে অভীষ্ট কামনায় নিজেকে চাঁদের সঙ্গে অভিন্ন কল্পনা করে জপ-হোম করতে বললেন, পূর্ণিমা পর্যন্ত৷ এবং ব্রতের শেষে, পূর্ণিমার দিনে, হোম শেষে ঘি নিবেদন করতে বললেন আচার্য-গুরুর কাছ৷ এতে শরীর সারবে, বিকলাঙ্গ লোক পর্যন্ত দেখতে সুন্দর হয়ে উঠবে৷ এরকম অনুষ্ঠানের কল্পনা এ-যুগে করা মোটেই সম্ভব নয়৷ পুরনো বছরের সঙ্গে এগুলোও বিলুপ্ত হয়ে গেছে৷ তবে বর্তমান নববর্ষের কতকগুলি ক্ষেত্রে আগের নববর্ষের ছাপ লক্ষ করা যায়৷ এখনকার মতো আগেও নববর্ষে কিছুটা নতুন জামাকাপড় বাড়িতে আসত৷ কারণ, রেশম-কার্পাসের ফলন এখানে চিরকালই ভাল৷ কাজেই কাপড়চোপড় কেনার ক্ষমতা থাকলে উৎসবের দিনেও তাঁরা নতুন কাপড় পরতেন৷
এখনকার মতো সেকালেও খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে নববর্ষে বিশেষ যত্ন নেওয়া হত৷ খাওয়া হত ইলিশ, রুই, কাতলা মাছের ঝাল-ঝোল-অম্বলের নানান পদ৷ এছাড়া পিঠে-পুলি, ক্ষীর, দইয়ের ব্যবস্থাও থাকত৷ সেইসঙ্গে থাকত সন্ধেবেলায় বাজনা-বাদ্যি আর নট-নটীদের নৃত্যের আসর৷ এছাড়া ছিল নানারকম খেলাধুলোও৷
তবে আমাদের বর্তমানের নববর্ষ বেশি লৌকিকতার বাঁধনে আসল রূপ প্রায় হারিয়েই ফেলেছে৷ সেই আন্তরিকতাটা আর নেই৷ শুধু আয়োজনের চাকচিক্যটাই আছে৷ অনাবিল আনন্দে কেউ আর আগের মতো নিজেকে ডুবিয়ে দিতে পারছে না৷ তাই নববর্ষের দিন মনে হয়, কোথায় যেন একটা ফাঁক থেকে যাচ্ছে৷ সত্যিই কি আমরা আগের মতো এখনও আন্তরিক?
শনিবারের চিঠি, বাহান্ন বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা