ছবি, ছবির বাজার ও জাল-ছবি

‘বাজার’ এবং ‘বাজারি’ এই দুটো শব্দের চেহারা বেশ কাছাকাছি হলেও অর্থের দিক দিয়ে এরা যথেষ্ট দূরত্ব রেখে চলে। অর্থাৎ এদের দৃশ্যগত সাযুজ্য আর ভাবগত ঐক্য মোটেও এক নয়। সকলেই জানি ‘বাজারি’ শব্দটা নেগেটিভ অর্থেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ‘বাজারি নাচ’, ‘বাজারি গান’ বা ‘বাজারি সাহিত্য’ এমনকী ‘বাজারি ছবি’– এগুলোর কোনওটাই উঁচু আসনে বসার যোগ্য বলে আমরা মানি না। সে কারণে শিল্পের মূল স্রোতে এদের ডাক পড়ে না। যেহেতু শিল্পকলার অভিজাত রেজিস্টারে এদের নাম নথিভুক্ত নেই, তাই সে আখড়ায় তাদের নাম ডাকাও হয় না। বরং এদের ঢেউ এসে লাগে আমজনতার মনে। ‘বাজার’ শব্দটার অর্থ আমজনতার ‘পালস্-রেট’-এর প্রতীক বললে বোধ হয় ভুল বলা হয় না। এই জনতার হাত ধরেই বয়ে চলে বাজারের শিল্প-সাহিত্যের একটি অন্যতম ধারা। আর এই ধারা যে মোটেই ক্ষীণতোয়া নয়, সে কথা কাউকে বলে দিতে হবে না। এ তো গেল ‘বাজারি’ শব্দের মামুলি ব্যাখ্যা। অপর দিকে ‘বাজার’ শব্দের সঙ্গে ছুঁয়ে আছে সাম্প্রতিক সময়ের যোগসূত্রটি। এই শব্দের মধ্যে ওতপ্রোত জড়িয়ে আছে আমাদের জীবনযাত্রার মাপকাঠি বা অর্থনীতি এমনকী সেই মুহর্তের আর্থ-সামাজিক দিকটিও। কিন্তু যদি বলি ‘ছবির বাজার’ তাহলে সুস্পষ্টভাবে আর্ট-মার্কেটের দিকেই অঙ্গুলি নির্দেশ করা হয়।

তবে এখানে প্রশ্ন, কেমনতর সেই বাজার? আজকের দিনে সদা-আন্দোলিত শেয়ার-মার্কেটের কথা আমরা সকলেই কিছু-না-কিছু জানি। খবরের কাগজের পাতায়, টিভির পর্দার বিশেষ চ্যানেলে সে সব বিষয়ে আলোচনা করা হয়। কিছু বিশেষজ্ঞ মানুষজন সে ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে আলোকপাত বা অবহিত করে থাকেন। কিন্ত ‘আর্ট-মার্কেট’? সেইটে ঠিক কী ধরনের, কেবল ছবির গ্যালারিগুলো কি তার খবরাখবর জানে? বাজার মানেই তো সেখানে একটা দরদামের প্রশ্ন এসেই যায়। ছবির বাজারও কি সেই খাতেই বয়ে চলে? শিল্পকলার ক্ষেত্রে তার বিপণনের মানদণ্ডটাই বা নির্ণীত হয় কীভাবে? সে-ও কি শেয়ার মার্কেটের মতো অমন ভাল্নারেবল অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলেছে? তার অবস্থাও কি আজকের শেয়ার বাজারসম সদাসঞ্চরমান দোলায়িত পেন্ডুলাম যথা? ছবির বাজারের কথা তুললে এমনতর অনেক ছোট-বড় জিজ্ঞাসা আমাদের মনে উঁকি দিতে বাধ্য।

একদিকে কিছু সত্যিকারের উঁচুমানের কাজ যেমন রচনা হয়েছে, তেমনই মাঝারি মাপের কাজের পরিমাণও নেহাত কম হয়নি। আর এভাবে হীরে আর কাচ, মুড়ি ও মিছরি মিশিয়ে ছবির বাজারের রঙিন জমিটি টলমল করে উঠতে বেশি সময় লাগেনি। ফলে ছবি-বাজারের বিপণনে যে রেখা একদা তীব্রতর বেগে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছিল অচিরেই সে বেগ স্তিমিত হয়ে তাকে ক্রমশ নীচের দিকে নেমে আসতে দেখা যায়। ক্রমে একটা অনিশ্চয়তা, ইনসিকিয়োরিটির ধোঁয়াটে বাতাবরণ যেন ছায়া ফেলতে থাকে আর্ট-মার্কেটের অন্দরমহলে।

হ্যাঁ, আর্ট-মার্কেটও অন্যান্য সাধারণ বেচা-কেনার মতোই আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে গড়ে ওঠে। বিভিন্ন আর্ট-ফেয়ারের উদ্যোক্তা, চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজক বা গ্যালারি-ওয়ালারা এগুলি পরিকল্পনা, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। আমাদের দেশেও তার অন্যথা ঘটে না। এদেশে ছবির বাজারে একটা প্রবল জোয়ার এসেছিল দু’হাজার ছয়-সাত সাল নাগাদ। কিন্তু তা বেশিদিন টেকেনি। তবে সেই পর্বে হঠাৎ কী এক আশ্চর্য অঙ্গুলিহেলনে ছবি বিক্রির গ্রাফ-লাইনটা সোজা খাড়াভাবে ধাবিত হচ্ছিল সটান উপরের দিকে। একই সঙ্গে বিদেশের বাজারে ভারতীয় শিল্পীদের ছবির প্রতি একটা বিশেষ উৎসাহ চোখে পড়ছিল এবং বেশ দামে বিক্রি হচ্ছিল আমাদের নামী শিল্পীদের কাজ। এমনকী এই প্রবাহে কোনও কোনও মাঝারি মাপের শিল্পীর ছবিও বিকিয়ে যাচ্ছিল বেশ চড়া দামে। এহেন মাহেন্দ্রক্ষণে তাই অনেকেই ছবির বিপণনে, একটু মোটা দাগের ভাষায় বললে ছবি বিকি-কিনির ব্যবসায় টাকা ঢালতে শুরু করেছিলেন। ফলে, কলকাতা-দিল্লি-মুম্বইয়ের মতো বড় শহর তো বটেই, মাঝারি ও ছোট শহরেও বিপুল উৎসাহে অনেকেই আর্ট-গ্যালারি খুলতে শুরু করেছিলেন। গ্যালারি উদ্বোধনের এই নব উদ্যোগ যেমন দেখা দিয়েছে রীতিমতো সিরিয়াস প্রস্তুতি সহকারে, ছবি প্রদর্শনের শর্তাবলিকে মান্যতা দিয়ে- তেমনই আবার এমনও দেখা গিয়েছে যে, স্পেসের অভাবে গ্যারাজের মতো ছোট জায়গাতেই কেউ কেউ খুলে বসেছেন আর্ট-গ্যালারি। এ যেন পথের পাশে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা পান-সিগারেটের গুমটি-দোকানের মতোই হঠাৎ গজিয়ে ওঠা একাধিক ‘আর্ট-গুমটি’। এইসব উঠতি গ্যালারিওয়ালাদের শিল্প বিষয়ক অভিজ্ঞতার অভাবে, শিল্পসংগ্রহের ক্ষেত্রে উৎকর্ষের দিকে যেমন তীক্ষ্ণ নজর ছিল না, তেমনই অন্য দিকে ছবির বাজারে হঠাৎ লগ্নি করতে আসা এই নব্য ক্রেতা-ব্যবসায়দের চোখও যে তৈরি হয়নি, একথা বলাই বাহুল্য। ফলে অনেক নিকৃষ্ট কাঁচা শিল্পকাজ এসে ঢুকে পড়েছিল ছবির এই ‘হঠাৎ-হাট’-এর আঙিনায়। ছোট, বড়, মাঝারি— সমস্ত শিল্পীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহের সঞ্চার হয়েছিল। পঞ্চাশ-ষাট দশকে গড়ে ওঠা শিল্পীদের গায়ে জড়ানো তথাকথিত দারিদ্র্যের আলখাল্লাটা খসে গিয়েছিল। তাই অনেকেই অন্য কাজ ছেড়ে ফুল-টাইম আর্টিস্টের দল নাম লিখিয়ে কাগজ-ক্যানভাস নিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন। একাধিক তরুণ শিল্পী ছবি-আঁকা সংক্রান্ত স্কুল কলেজের চাকরি-বাকরি ছেড়ে স্কুডিয়ো নিয়ে চিত্রাঙ্কনে ডুবে যেতে চেয়েছিল। এর ফল অবশ্য ভাল বা মন্দ দু’রকমই ঘটেছে। একদিকে কিছু সত্যিকারের উঁচুমানের কাজ যেমন রচনা হয়েছে, তেমনই মাঝারি মাপের কাজের পরিমাণও নেহাত কম হয়নি। আর এভাবে হীরে আর কাচ, মুড়ি ও মিছরি মিশিয়ে ছবির বাজারের রঙিন জমিটি টলমল করে উঠতে বেশি সময় লাগেনি। ফলে ছবি-বাজারের বিপণনে যে রেখা একদা তীব্রতর বেগে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছিল অচিরেই সে বেগ স্তিমিত হয়ে তাকে ক্রমশ নীচের দিকে নেমে আসতে দেখা যায়। ক্রমে একটা অনিশ্চয়তা, ইনসিকিয়োরিটির ধোঁয়াটে বাতাবরণ যেন ছায়া ফেলতে থাকে আর্ট-মার্কেটের অন্দরমহলে।

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ছবির বাজার থিতু হতে এর পর বেশ একটু সময় নিয়েছে। অন্যদিকে শিল্প বেচা-কেনার উত্তপ্ত আসরে ভাঁটার টান আসতেই অনেক উঠতি ব্যবসায়ী তাঁদের সদ্য উন্মোচিত গ্যালারির ঝাঁপ বন্ধ করে দিতে চেয়েছেন। পাশাপাশি হঠাৎ উচ্চকিত বাজারের স্রোতে ভেসে আসা নব্য আর্টিস্টের অনেকেই তাঁদের আর্ট স্টুডিয়ো বা চিত্রকক্ষের দ্বারে তালা ঝুলিয়ে আবার স্বস্থানে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন, কেউ কেউ একেবারে ফিরেছেন। শিল্পজগতের এই সাময়িক দোলাচলে তরুণ শিল্পূদের মনে শিল্পনির্ভর জীবিকা সম্বন্ধে অনিশ্চয়তার একটা বাতাবরণ তৈরি হলেও প্রতিষ্ঠিত শিল্পীকুলের বিশেষ ক্ষতি হয়নি। আবার কারও মতে ছবির বাজারের এই সাময়িক সংকটের ফলে হয়তো ‘শাপে বর’ হয়েছে। আর্টের আখড়ায় জমে ওঠা উঠতি ভিড় হালকা হতে শুরু করেছে। তাই একথা নিঃসন্দেহে বলতে হবে যে, বর্তমান ক্রাইসিসের মধ্যে এই লড়াইতে যাঁরা টিকে রয়েছেন– তাঁরাই সত্যিকারের শিল্পী বা শিল্প-রসিক। শেয়ার বাজারের বিপুল পতনের মতো প্রায় বিকিকিনিহীন ছবির বাজারে শেষ পর্যন্ত যাঁরা স্থির রইলেন, তাঁদের হাতেই ধরা থাকল শিল্প-রথের সোনার রশিখানা। এ পর্বে অনেকের মুখেই শোনা যেতে লাগল, ‘একদিকে এ ভালই হয়েছে’। গ্যালারি, বাজার বা ক্রেতার চাপ আর নেওয়া যাচ্ছিল না। কেউ বললেন, ‘এখন আবার নিজের মনের আনন্দে ছবি আঁকতে পারব’। আর কারও মতে বাজারের চূড়ায় কিছুকাল অবস্থানের ফলে মনের মধ্যে একটা বিরাট চাপ, একটা প্রবল টেনশন চলতে থাকে। মনে হয় এই বুঝি নেমে গেল ছবির দাম। এবারের এক্জিবিশনে বিক্রি বুঝি আর জমল না। অর্থাৎ সেদিক থেকে ছবির বাজার পড়ে গিয়ে হয়তো ভালই হল। উপরের যাবতীয় ইনসিকিয়োরিটি থেকে শিল্পীরা বুঝি খানিকটা মুক্ত হলেন। এমনকী নিজের ইচ্ছেমতো ছবি আঁকার স্বাধীনতাও হয়তো ফিরে এল— যা মাঝেমাঝে গ্যালারিওয়ালা নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। অবশ্য এই নিয়ন্ত্রণ মূলত তরুণ শিল্পীদের ওপরেই, প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের ওপর গ্যালারির রিমোট ততটা কার্যকরী প্রভাব ফেলতে পারে না। কিন্তু আর্ট-মার্কেট পড়ে গিয়ে আরেকটা দিকের দরজা— যাকে খিড়কির দরজা বলতে পারি, তা খুলতে লাগল। এই খিড়কি আসলে একটা চোরা পথ। নকল-ছবির নিষিদ্ধ করিডর এ পথে চোরাগোপ্তা যাতায়াত ছিল, তবে দরজার পাল্লাটা এবারে উন্মোচিত হল। একটু বেশি দ্রুত ভঙ্গিতে।

রামকিঙ্কর বেজ

বিজ্ঞানের সূত্র আমাদের শিখিয়েছে, প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটা সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। এমনটা ঘটল এক্ষেত্রেও। সাধারণভাবে ছবির বাজার যখন কিঞ্চিৎ স্তিমিত, সাম্প্রতিক কালের শিল্পীদের কাজের দাম যখন একটু পড়তির দিকে, তখন আমাদের চোখ ছড়িয়ে পড়ল ক্লাসিক আর্টের দিকে। যেসব ছবির দাম নিশ্চিতভাবেই সাধারণের নাগালের বাইরে। উদাহরণ হিসেবে বলতে হয় রবীন্দ্রনাথ, অবনীন্দ্রনাথ, নন্দলাল, বিনোদবিহারী, রামকিঙ্কর প্রমুখ শিল্পীর কাজ নিয়ে হঠাৎ গ্যালারিওয়ালারা যেন কিছুটা বেশি সজাগ হয়ে উঠলেন। উপরোক্ত নামগুলির মধ্যে নন্দলাল আর রামকিঙ্কর সংগ্রহ অপেক্ষাকৃত সহজ, কারণ ছাত্রছাত্রীদের চিঠিপত্রে একদা অকাতরে ছবি এঁকে বিলিয়ে দিয়েছেন নন্দলাল। আর রামকিঙ্কর আজীবন কল্পতরু হয়ে অকাতরে ছড়িয়ে দিয়েছেন নিজের কাজ। এহেন অবস্থায় একদল সুযোগ সন্ধানী মানুষ আমাদের দেশের প্রথিতযশা চিত্রীকূলের ছবি নকল করিয়ে ব্যবসায়ে নেমে পড়েছেন। সদ্য এই ব্যবসা শুরু হয়েছে এমনটা নয়, ছবি-নকলের এই অভিজাত ব্যবসা আগেও ছিল। অভিজাত এই জন্য বলছি, অনেক সময় দেখা যায় ছবির গ্যালারির আড়ালে এই ব্যবসার একটা চোরা স্রোত প্রবাহিত হয়ে চলে। বিদেশে হয়তো এর অজস্র নজির মিলবে। একই সঙ্গে বলতে হবে বিদেশের আইন-কানুনও অনেক জোরদার, যেখানে আমাদের দেশ অনেক পিছিয়ে। কিছুকাল আগে এই বিষয়ে সত্যজিৎ রায়ের গল্প ‘টিনটোরেটোর যীশু’র কথা আমাদের অনেকের মনে আছে। সাম্প্রতিককালে সেই গল্প অবলম্বনে সত্যজিৎ-পুত্র সন্দীপ রায় ছায়াছবিও তৈরি করেছিলেন। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘চিত্রচোর’-এর কথাও এখানে স্মরণযোগ্য। গল্পের পটভূমিকায় এই জগতের অন্ধকার আলোছায়ার কিছুটা আভাস পাওয়া গেলেও, এর গহন গলিপথ অনেক জটিল এবং বহুদূর ছড়িয়ে। আমাদের দেশে মাস্টার-আর্টিস্টের ছবি নকল করে তাকে ওরিজিনাল বলে চালানোর ব্যাপারটা অবশ্য তেমন প্রাচীন নয়। তবে বর্তমানে এর বিস্তার যে বহুদূর পর্যন্ত প্রসারিত, সে কথা স্বীকার না করে উপায় নেই।

নন্দলাল বসু

বর্তমানে বিভিন্ন ছবি-নিলাম হাউসের যে পরিচিত কাহিনি আমাদের সামনে আসে তার বোধ হয় অনেকটাই প্রশ্নচিহ্নযুক্ত। একাধিক জায়গা থেকে জড়ো হওয়া ছবি আর ভাস্কর্যের যে বিচিত্র ডালি সাজিয়ে তোলা হয়, সেগুলোর কতটা সত্যি, কতটা মেকি– এ বিষয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। কারণ এইসব ছবি-ভাণ্ডারের উৎসগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঝাপসা। এমনকী অনেক সময় দেখা যায় যেসব চিত্রমালা ঝাঁ-চকচকে কক্ষে নিলামের হাতুড়ি-ধ্বনির জন্য অপেক্ষমান, তাদের সত্যকার উজ্জ্বল উপস্থিতি কোনও গ্যালারির প্রদর্শকক্ষে। তাহলে কোনটা আসল? এ প্রশ্নের উত্তর অবলীলায় কোনও ধাঁধার জবাব দেওয়ার মতো নয়। এর জন্য শিল্প ও শিল্পের ইতিহাস জানা জরুরি। জ্ঞান থাকা জরুরি শিল্পীর কাজ ও ব্যক্তিজীবনের তথ্যমালায়, অন্যথায় ভুল ঘটবে বারংবার।

 

শনিবারের চিঠি, শারদ সংখ্যা, ১৪২১