ঋতুরঙ্গময়ী বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে হৃদয়স্থিত করে ছড়াকার-দার্শনিক-কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী আত্ম-উন্মোচনে প্রকৃষ্ট হন, যেখানে বঙ্গ-পরিবেশের ছন্দময়, দৃশ্যময় ও সংগীতময় অপরূপ রূপ পরিবর্তনে ও পরিবর্ধনে বিচিত্রতার ধারাপাতে অনুসরণবাহী হয়, উদ্ভাসিত হয় সীমাহীন রূপের খেলায়। এখানে গাছপালা, নদী, পাখি, পশু, পাহাড়-পর্বত প্রভৃতি একীভূত হয়ে পূর্ণতার অর্পণে ও গ্রহনে থাকে। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কীভাবে পাখির অনুষঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে তাদের বর্ণনা করেছেন, সেটাই আমার বিষয়াধার। নানা পাখির মধ্যে তিনি টিয়াকে সাজুয্যময়তায় আনেন। তিনি লেখেন,
‘কই পেয়ারা, নেই পেয়ারা,
বাগান বেবাক ফাঁকা,
দুষ্টু পাখির জন্যে গাছের
ফল গেল না রাখা।
কোন পাখি সে, ঠোঁটটা কি তার
লাল টুকটুক নাকি?
সবুজবর্ণ গা তার? তবে
সেটাই টিয়াপাখি।’১
ছড়ার সংবর্তনে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী একীভূত হয়ে শিশু মনোরঞ্জনে ও শিক্ষার্থে ছড়া রচনা করেছিলেন। তিনি আত্মপ্রসাদে নয়, শিশুদের আনন্দ প্রসাদে ছড়া রচনায় ব্রতী হতেন সতত এবং শিশুদের সংযোগনামায় নিজেকে প্রসারিত করতেন যেখানে শিশুমনন, শিশুদর্শন, শিশুসংশ্লেষণ দূর্বারবাহী হত। তিনি সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে নিজেকে সম্পৃক্তবাহী করে শিশুদের জন্য ছড়া রচনা করতেন, যেখানে পূর্বাপর সৌন্দর্য নান্দনিকতার আধার পেত। তিনি পারস্পরিক প্রবর্তনে পাখির কন্ঠস্বরকে প্রাধান্য দিতেন, যেখানে সকালের আবর্তনে প্রভাতী আলো বিচ্ছুরণে মিত্রতার আবেশ পেত। এই আবহে রবীন্দ্রনাথের একটি ছড়া,
‘ওরে পাখি,
থেকে থেকে ভুলিস কেন সুর,
যাস নে কেন ডাকি–
বাণীহারা প্রভাত হয় যে বৃথা,
জানিস নে তুই কি তা।
অরুণ আলোর প্রথম পরশ
গাছে গাছে লাগে,
কাঁপণে তার, তোরই যে সুর
পাতায় পাতায় জাগে।
তুই যে ভোরের আলোর মিতা
জানিস নে তুই কি তা।’২
অনন্য আখ্যানে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী শিশু ছড়া সৃষ্টির সংবিধানে ছন্দ, ভাব ও শব্দের সংযোজনে পাখির গতানুগতিকতার অংশী হয়ে নিষ্ঠাবাহী হতেন এবং লিখতেন। তিনি সার্বিক উপহারে পাখির গানকে স্বপ্নময়তায় আসীন করতেন। তিনি লেখেন,
‘জাগরণে লক্ষ্মী রে তুই
আমার শিয়রেতে
আছে আঁচল পেতে
জানিস নে তুই কি তা?
গানের দানে উহারে তুই
করিস নে বঞ্চিতা|
দুঃখ রাতের স্বপন তলে
প্রভাতী তোর কি যে বলে
নবীন প্রাণের গীতা,
জানিস নে তুই কি তা|’৩
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কোকিলকে নিজস্ব ভাবনার একক অংশী করে ছড়া রচনা করতেন। সকলেই কোকিলের স্বভাবসম্মত অভ্যাসকে, জানি, অলস পাখি, গান গেয়ে দিন কাটায়, বাসা বাঁধার ব্যাপারে উদাসীন, কাকের বাসায় ডিম পাড়ে, সেখানেই তার বাচ্চা বড় হতে থাকে। এই সব ভাবনার অনুরণনে গতি ও ছন্দের অনবদ্য পরিক্রমায় লেখেন তিনি,
‘কোকিলের কুহু রবে
বন মাতোয়ারা,
জমে না জলসা তার
কোকিলকে ছাড়া।
কোনো কাজ করে না সে
শুধু গান গায়,
ছানা তার বেড়ে ওঠে
কাকের বাসায়।’৪
কত পাখি, কত প্রাণ, কত সমাহার! যেন পূর্ণতা এবং মিলনের মন্থনে তারা ওড়ে, উড়ে বেড়ায়, যেন প্রিয় পরিমন্ডলে কোনো এক চড়ুই পাখি আত্মস্নানে থাকে, চঞ্চলতাই তার নিজস্ব উপাখ্যান। তার দৈনন্দিন আখ্যান পরম প্রত্যয়ে নির্মল আবেশের উপক্রমন হয়, যেন তার প্রিয় ব্যাপণে তার নিজস্ব মাধ্যম আছে, আছে সহবর্তিনী সাজুকতা, যেখানে তার উড়ে বেড়ানো, ঘোরা, গুপ্তচর বৃত্তি, শুভবেশ ধারণ, মুক্তমনা ভাব, আকাশের দিকে তাকানো– সবই যেন পারম্পরিক। এ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত ছড়াকার ইলা দাস লেখেন,
‘চড়ুই পাখি, উড়ে বেড়াস
এ ঘর থেকে ও ঘর,
এই ঘরেতে ঢুকে এখন,
তুই বুঝি, গুপ্তচর?
… … …
চড়ুই পাখি, চড়ুই পাখি,
আকাশ পানে দ্যাখ,
সকাল বেলা ছড়িয়ে আছে
রৌদ্র রঙের রেখ্।।’৫
পাখির নিজস্ব মুক্তির একটা জায়গা আছে। সে হল ওই মহাকাশ। মহাকাশে ওড়াতেই পাখি নিজস্ব আনন্দের আর উন্মাদনার আবেশ পায়; এটা চিরন্তন এবং সার্বিক। পাখিকে খাঁচার মধ্যে রেখে পূর্ণ যত্ন এবং তার প্রিয় খাবার যতই দেওয়া হোক না কেন, সে আবদ্ধতা চায়ই না, একদম। মুক্ত আকাশ উড়ে বেড়ানোতেই তার সর্বানন্দ; তাতে যদি সে না খেয়ে থাকে, বা অর্ধাহারে থাকে, সেও বেশ! এই ভাবনার বশবর্তী হয়ে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী লেখেন,
‘বাজার থেকে ময়না কিনে এনেছিলেন দাদা,
বলতে তাকে শিখিয়েছিলেন
কৃষ্ণ কৃষ্ণ রাধা ।।
উড়তে সে চায়, লোহার খাঁচার,
দরজা খুলে দিলে,
ময়না আবার মেলবে ডানা
আকাশ ভরা নীলে।।’৬
অনন্য নির্মাণ, পরিসরে সমস্বর যেখানে শব্দেরা করে খেলা, ছন্দে এবং ভাববিহারে; এখানেই বোধ হয় ছড়ার নিরন্তর উৎকর্ষতা। বলা যেতেই পারে, এই অনুভবে অনুপ্রাণিত হয়ে, ছড়া সৃষ্টিতে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী দূর্মর। গভীরতার মাঝে, প্রিয় মন্থনে এবং মর্মনে ছড়াকার নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী নিজস্ব ঘরানা তৈরি করেছেন, ছড়া সৃষ্টিতে। তিনি তো তিনিই। তিনি শব্দ, ছন্দ ও বর্ণনার গভীরে গিয়ে পুষ্ট হতেন এবং ভাবের অভিষিক্ততায় জারিত হয়ে অপূর্ব ছড়া সৃষ্টি করতেন। তিনি বর্ণময়ে দ্যুতিবাহী হয়ে সৃষ্টির আবর্তে রূপান্তরিত হতেন এবং লিখতেন। ময়ূরকে নিয়ে তিনি লেখেন,
‘ময়ূর পেখম মেলে
নাচে যদি, তার
তুল্য কোথাও খুঁজে
পাবে না বাহার।
ঝকমকে রঙে গড়া
শরীরটি তারই,
জাতীয় পাখি সে তাই
গৌরব ভারী।’৭
শিশু মনে একটা সুরম্য ধারা প্রবাহিত হয় যেখানে চঞ্চলতা, উদাসীনতা, খেলাধূলার প্রবাহ, অবাধ্যতা, নিজস্বতা, ঝগড়া, মন কেমন করা, সর্বসাকুল্যে একাকার থাকে। শিশুর মন, মননে গাছ, ফুল, পাখি, নদী, মাঠ, ঘাস– প্রভৃতির একীভূতি ঘটে। সেই সাজুয্যকে কেন্দ্র করেই ছড়া লিখে চলতেন বিখ্যাত ছড়াকার নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তার অনুসারী হত কত ছড়াকার|
সাহিত্য সৃষ্টির মধ্যে একটা শিক্ষণাধার, আর্তি, আত্মার আবেদন-নিবেদন প্রবাহিত হয়। ছড়াও সাহিত্যের একটা অংগ বা অংশ বলে ছড়াতেও সেই ধারা প্রবাহগামী। শিশুমনের নানা স্বীকৃত পদ্ধতি, মানসিক অনুসরণ, উপকরণ, নিত্য মনের অপরিহার্যতা, মনন, সুসম্পন্ন সম্পাদন— সব কিছুকে নিত্য সঞ্চারী করে ছড়াকার নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ছড়ার অধ্যায় খুঁজে পেতেন। শালিক পাখির নিজস্ব বৈশিষ্ট্যকে আধারবাহী করে তার ‘রোঁয়া ফোলানো’, ‘রোদ পোহানো’, ‘সঙ্গী পাওয়া’র মধ্য দিয়েই তিনি ‘শালিক’ ছড়াটিকে বিকশিত করেছেন।তিনি লেখেন,
‘শীত পড়েছে, ফুলিয়ে রোঁয়া
তাই বুঝি সকালে–
একলা শালিক পোয়াচ্ছে রোদ
গোয়াল ঘরের চালে।
এখন বটে ঠান্ডা মেজাজ,
সঙ্গী পেলেই ক’টি–
সবাই মিলে লাগিয়ে দেবে
বিষম ঝটাপটি।।’৮
প্রিয় মন ও মননে, শব্দ ও ভাবের প্রতিফলন, যেখানে ছড়ার সৃষ্টি বা চাষ হয় এবং মুক্তমনে আনন্দধারা বয়ে আনে।এখানেই নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী একক বিচরণে এবং বিচ্ছুরণে ছড়া সৃষ্টিতে মত্ত থাকেন,কারণ তার সমাগতবোধে বিবর্তিত হয় কালের মদিরা, প্রবাহের সমূহ উন্মোচন। চর্চা, অনুশীলন, শব্দ ও ভাব মন্থনের মধ্য দিয়ে ছড়াকার নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ছড়া সৃষ্টি করে চলতেন, কেননা, তিনি সর্বোপরি বুঝতেন কোমল, সহজ, সবুজ এবং সরল শিশুদের মন, যেখানে শিশুদের দৈনন্দিন অনুশীলন, মনন-মন্থন, মননানুরণন এবং শিক্ষণ চলে। বস্তুগত ও প্রাণীগত উপকরণের অধ্যায়কে সঙ্গী করে নিজ প্রচেষ্টার দ্বারা ঋদ্ধ হয়ে দার্শনিক ছড়াকার নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী শিশু মনের ছড়া উপস্থাপন ও উপযোগী করে তুলতেন। তিনি আবার অনুক্ষণ এবং সময়ের পর্যায়ে অর্জনবাহী হয়ে শিশুর গ্রহন ক্ষমতা এবং চিন্তাশীলতার সহায়ক হতেন। তিনি এবার প্রাপ্তপ্রবাহে অনুরক্ত হয়ে টুনটুনি পাখিকে নিয়ে টুনটুনির ডাক, গাছগাছালির ফাঁকে তার নিত্য বিচরণকে নিয়ে লেখেন,
‘বর্ষা কাটার পরেই যখন
চিড়িক-চিড়িক শুনি,
বুঝতে পারি বাগানে ফের
এসেছে টুনটুনি।
ছোট্ট সে একরত্তি পাখি
গাছগাছালির ফাঁকে,
ফুড়ুত ফুড়ুত ওড়ে সে, আর
চিড়িক-চিড়িক ডাকে।’৯
সচেতনতা, প্রত্যয়ী ভাবপ্রবনতা, কল্যাণকর অনুরণন ও অনুতর্পণ, চিন্তার বিকাশ, প্রভৃতির মধ্য দিয়েই ছড়াকার নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ছড়া রচনা করতেন| যেখানে তাঁর বিকাশ ও সৃষ্টিধারা নদীর প্রবাহের মতোই প্রত্যয়স্পর্শী হত, কারণ তিনি জানতেন কালপ্রবাহে কিছু কিছু ঘটনা, ধারণা ও সৃষ্টি কালোত্তীর্ণ হয়ে সর্বতো চিরকালীন হয়।
সৌন্দর্যের এবং নান্দনিকতার নানা উপাচারে তিনি আত্মমন্থিত হয়ে, অনুপম শব্দঝংকারকে ছন্দে সংবাহিত করে ছড়া রচনা করতেন যেখানে তার সুরম্য সমাবস্থান ও সহাবস্থান হত প্রতিনিয়ত এবং তিনি শব্দ, বর্ণ, ছন্দ এবং ভাবের প্রলম্বিত আয়োজনে একাকারবাহী করে প্রসারিত হতেন, ছড়া রচনা করতে। তিনি বাবুইয়ের দক্ষতা এবং কর্মসত্বার মুন্সিয়ানায় ঋদ্ধ হয়ে সংগত সুখ্যাতির সংবাহনে ছন্দ-গ্রথিত হতেন। তিনি লেখেন,
‘দারুণ খাসা পাখির বাসা
বাবুই বানায় নিজে,
পাখির রাজ্যে সুখ্যাতি তার
সেই সেরা শিল্পী যে!
যেমন আলো তেমনি বাতাস
করছে যাওয়া আসা,
গাছের ডালে দোদুল্যমান
বাবুই পাখির বাসা।’১০
নানা পাখির চরিত্র, স্বভাব, বৈশিষ্ট্য, চলাফেরাকে তিনি হৃদয়ের ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করে ছড়া রচনা করতেন। তিনি অনুভব করেন ‘চিল’ তার নিজস্ব ভঙ্গীমায় বিচরণ করে আকাশে, কিন্তু তার মন পড়ে থাকে মাটিতে। তিনি লেখেন,
‘উড়তে উড়তে চিল ছুঁয়ে যায়
মেঘের রাজ্যটাকে,
নজর কিন্তু তখনও তার
নীচের দিকেই থাকে।
ঠোঙার খাবার সবার তোরা
সামলে-সুমলে থো,
আকাশ থেকে রাক্ষুসে চিল
মারতে পারে ছোঁ।’১১
আবদ্ধতা কারো ভালো লাগে না, সে শিশুমন হোক বা পাখিকে আটকে রাখাই হোক। অনির্বচনীয় রূপময়ী শূন্যে মহাকাশে নীল জলে, সবুজ গাছের শাখায় পাখি নেচে বেড়াতে ভালোবাসে। এখানেই পাখির মনের পূর্ণ তৃপ্তিময়তা; আর এখানেই তার অন্তরের স্নিগ্ধমধুর স্বপ্নময়তা। এই আবহে একটি ছড়া,
‘মুক্তিমনে উড়বে পাখি
খাঁচায় কেন রাখো?
তার আছে অসীম আকাশ,
আছে লাখো, লাখো।।
শেখাও বুলি পাখিটাকে
বন্ধ খাঁচায় পুষে,
সেথায় কি সে, থাকে ভালো
বলছি অবশেষে।।
যতই তুমি খাবার দাও
মন ভরে না তার,
সে যেন একটা জীব
বদ্ধ পরিখায়!!
পাখিটাকে উড়িয়ে দাও
অসীম সীমানায়,
উড়ে যাক, উড়েই যাক,
যেথায় সে চায়।।
সে যাবেই নিরুদ্দেশে
নিজের ইচ্ছা মতো,
দোলে খাঁচা বারান্দাতে,
যত খুশী তত ।।’১২
সর্বোপরি আত্মমন্থনে মন্থিত হতে হতে কবি-ছড়াকার-দার্শনিক নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ছড়া রচনা করে চলতেন, যেখানে শিশুদর্শনের সাথে প্রকৃতি, গাছপালা, নদী, পুকুর, শূন্য আকাশ, সবুজ ঘাস, ধানের খেত, হাওয়া, পাখি, সব কিছু; তার সঙ্গে সঙ্গত সংগীত উচ্চারিত হত। আর এখানেই ছড়াকার নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর দৃপ্তময় মুন্সিয়ানা এবং অনবদ্যতা।
তথ্যসূত্র
১. নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী; ছড়া সমগ্র-২ ; পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি ; ১/১, জগদীশচন্দ্র বসু রোড; কলি-২০; ২০০৬; পৃ-৫৭;
২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; রবীন্দ্র রচনাবলী; তৃতীয় খন্ড, কলি-৭০০০০১; ১৯৮৩, পৃ- ১০২;
৩. ঐ;
৫. ইলা দাস, মজায় ভরা/ খুশির ছড়া; শ্রীশ প্রকাশনী; এফ ১৬৬, বৈষ্ণবঘাটা পাটুলি টাউন; কলকাতা- ৯৪; ২০০৮; পৃ-২৯;
৪. থেকে ১১.— নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী; ছড়া সমগ্র-২ ; পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি ; ১/১, জগদীশচন্দ্র বসু রোড; কলি-২০; ২০০৬;
১২. লেখক- তাৎক্ষণিক ছড়া;