…আমাকে যদি কমিটেড শিল্পী বলা হয়, আমার কোন আপত্তি থাকার কথা নয়। কেবল
একটি ছাড়া। নাটকের মধ্যে দিয়ে আমি মানুষের পক্ষে কথা বলতে চাই। সেটা
রাজনৈতিক হতেই পারে। তবে আমি কোনও পার্টির রাজনৈতিক বক্তব্য আমার
নাটকের মধ্যে দিয়ে বলতে চাই না। বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষনে ও দৃষ্টিভঙ্গিতে যা কিছু
সমাজের ও সাধারন মানুষের স্বার্থের পরিপন্থী আমি দরকারমতো ও সাধ্যমতো তার
বিরুদ্ধে মানুষকে খোঁচা দিয়ে জাগাবার জন্য নাটক করে যেতে চাই, তা সে ব্যঙ্গ বা
সিরিয়াস যা কিছু হোক না কেন। এটাই আমার কমিটমেন্টের শেষ কথা।
পুরনো মেক আপটা নতুন করে মুখে মেখে স্বগতোক্তি করি আয়নার সামনে। উল্টোদিকের ছবি জিজ্ঞেস করে “পেলে”? আমি বলি “না, এখনও একটা ভাল রোলের আশায় আছি।”
একেবারে শুরুতে ‘নতুন ইহুদি’, বর্তমানে ‘জয় মা কালী বোর্ডিং’ আর মাঝে ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’— আমার শিল্পীমানসের গতি ও প্রকৃতি আলোচনা করার ও বুঝবার পক্ষে, এই ত্রিধারা প্রয়োজনীয় সাহায্য দিতে পারে। আমি আগেই বলেছি আমার অভিনয় জীবনের বিকাশের মধ্যে কোন আকস্মিকতা নেই বরং একটা স্বতঃস্ফূর্ত স্বাভাবিকতা আছে।

অভিনেতা হিসেবে আমার কোন ক্ষোভ নেই, বলাটা ঠিক হবে না। আমি এখনও ভালো রোলের সন্ধানে ব্যস্ত। অনেকে আমাকে ‘ডাল ব্রেইন’ বলে, কী জানি হয়ত তাই। এখনও অন্য কারও ভালো অভিনয় দেখলে জড়িয়ে ধরি, তাকে কাছে পেতে ইচ্ছে করে, শিখতে ইচ্ছে করে তার থেকে। মনে হয় কত কী করা হল না। আর এইসব ভাবনা মাথায় এলেই কাটার খোঁচা খেয়ে বলে ফেলি “একটা ভাল রোল চাই”। বদলে এসে হাজির হয় একঘেঁয়ে কিছু কাজ, সেই একই ধরন, একই রঙ, একই ভঙ্গি। কত আর ভাগাব।
তাই কিছু কিছু করতেও রাজি হয়ে যাই। আর পুরনো মেক আপটা নতুন করে মুখে মেখে
স্বগতোক্তি করি আয়নার সামনে। উল্টোদিকের ছবি জিজ্ঞেস করে “পেলে”? আমি
বলি “না, এখনও একটা ভাল রোলের আশায় আছি।”