‘শনিবারের চিঠি‘ ১৯২৪ জুলাই (১০ শ্রাবণ ১৩৩১) থেকে যাত্রা শুরু করে অনেক উত্থান-পতন এর মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল বাংলা সাহিত্যের আঙিনায়।
জন্মের উষালগ্নে ‘সে’ ছিল অশোক চট্টোপাধ্যায়ের ‘কল্পরাজ্যের কন্যা’– প্রথম যুগে ‘প্রবাসী’র কোলে বেড়ে ওঠা। পরবর্তীকালে ‘সে’ হয়েছিল সজনীকান্ত দাসের ‘মানস কন্যা’ – বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় যুগ।
দীর্ঘ পথ চলায় সে নিজেকে অনেক ভেঙেছে, নদীতে প্রচুর জল বয়েছে— সিক্ত করেছে সে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে। নিজেকে সে ঋদ্ধ করেছে তৎকালীন প্রথিতযশা সাহিত্যিকের লেখনী দ্বারা। ‘শনিবারের চিঠি’র প্রখর বিদ্রূপের ভঙ্গিমা, বিরূপ কটাক্ষ, বঙ্কিম হাস্যরস যেমন তাকে সাহিত্য ক্ষেত্রে এনে দিয়েছিল অসামান্য সাফল্য, তেমনি আবার অন্তরালে জমে থাকা সঞ্চিত ক্ষোভ তার পথ চলার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
‘বদলানো চিঠির পাল্টানো ঠিকানা’ – সজনীকান্ত দাস সম্পাদিত শনিবারের চিঠির একটি নতুন অধ্যায়, নতুন আঙ্গিকে শুরু হতে চলেছে পয়লা বৈশাখ ১৪৩১।
যুগের আদলে প্রযুক্তির হাত ধরে আমাদের জীবন থেকে অচিরেই হারিয়ে যাবে নতুন কাগজের গন্ধ, বঞ্চিত হব তাকে স্পর্শ করার আনন্দ থেকে, ভুলে যেতে হবে তাকে আঁকড়ে ধরে থাকার এক সুখানুভূতি।তবু বলব আমরা এগিয়ে চলেছি নতুন পথে-ভালো মন্দের বিচার ভবিষ্যতই বলবে।
চৈত্র অবসানে দিন ফুরোয়। আরও একটি নতুন বছরের সূচনা হয়। নিয়ে আসে নতুন ভাবনা, নতুন আনন্দ-প্রত্যাশা-শুভ হোক নতুন বছর।সকলকে জানাই নতুন বছরের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। শুভ নববর্ষ।