ঘুমন্ত ঈশ্বর
ঈশ্বর তুমি ঘুমিয়ে আছো? আর কতকাল… এমনি করে মুখটি বুঁজে ওপাশ ফিরে, থাকবে শুয়ে? বয়স তোমার অনেক হল, দৃষ্টিশক্তি কমেও …
সেতু
বিপজ্জনক সেতুর সংকেত নিয়ে পড়ে আছে একূলে ওকূলে! দেহের ফলকে সময়ের অক্ষর জ্বলে পড়ে আছি নেশার ঘোরে ছন্দ পতনের নীচে। …
বনদেবী_তোমাকে…
ঈশ্বর কণার চেয়ে সূক্ষ্ম অস্তিত্বের খোঁজে যতদূর স্পন্দন অনুভূত হয় তেমন প্রগাঢ় নিশ্বাসে তুমি মিশে আছ আমি ভুল করি বারবার …
প্রথম বাঙালি মহিলা ঔপন্যাসিক
স্বর্ণকুমারী দেবী সাহিত্য কর্মে নিজের প্রতিভা উজাড় করে দিয়ে যেসব ফসল ফলিয়ে ছিলেন তার মধ্যে একটি কাহিনি নিয়ে ১৮৭৬ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দীপনির্বাণ’। জাতীয়তাবাদী ভাবনায় অনুপ্রাণিত এই লেখাটিই বাংলা সাহিত্যে কোনো বাঙালি নারী রচিত প্রথম সার্থক উপন্যাস।
সজল তিলোত্তমা
এখনও কিছু মানুষ আছে বর্ষায় যাদের বুকের মধ্যে বৃষ্টি ঝরে। বর্ষায় তারা ঘরের মধ্যেই মেঘদূত জমিয়ে তোলে। তাদের মন মেঘের সঙ্গী হয়ে উড়ে চলে কোন সুদূরে যক্ষপুরীর বন্ধগুহায়। যেখানে বন্দি হয়ে রয়েছে কোনও অতীত, গোপন প্রেমের স্মৃতি অবয়ব।মনের ভিজে ক্যানভাসের পুরনো আবছা মুখগুলো কেমন জলছবি হয়ে ফুটে ওঠে।
গণতন্ত্রের বীরেন্দ্র
এ যেন জীবনানন্দের বেলা অবেলা কালবেলার চল্লিশ দশক। শুধু রক্ত আর রক্ত বমিতে শেষ একটা তরুণ প্রজন্ম। শিক্ষার সিঁড়িতে রক্তের দাগ। বোধের মৃত্যু ঘটেছে। ক্ষমতা দখলের রাজনীতিতে রাক্ষসও পরাজিত। শুধু বাহবা পাবার ইচ্ছা। অবক্ষয়ের উন্নয়ন। কেউ থামবে না। কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাই সংঘবদ্ধ বিদ্রোহের ডাক দেন। গণ চেতনার ডাক দেন। বিপ্লবের মধ্যেই উত্থান। দরকারে ছিনিয়ে নিতে হবে নিজেদের অধিকার।
নৈসর্গিক কথাশিল্পীর সাহিত্যচর্চা
প্রকৃতির বর্ণনার মধ্য দিয়ে বিভূতিভূষণ আমাদের গভীর জীবনদৃষ্টিকেও তুলে ধরেছেন। তবে তাঁর রচনায় নিম্ন মধ্যবিত্ত বাঙালির জীবনচিত্র ও সমকালের আর্থসামাজিক বাস্তবতাও সমভাবে উন্মোচিত হয়েছে। তাই বাংলা কথাসাহিত্যে মানুষের ব্যথার কথা বলে শরৎচন্দ্রের পরে বিভূতিভূষণই সর্বাপেক্ষা সাহিত্যিকের মর্যাদা পেয়েছেন।
মহামিলনক্ষেত্র শ্রীক্ষেত্রে জগন্নাথের রথযাত্রা
কথায় আছে দেবানুগ্রহ ছাড়া নাকি দেবদর্শন হয় না। তাই বোধ হয় ছোটবেলা থেকে অনেকবার পুরী ভ্রমণ করলেও রথে জগন্নাথ দর্শন …
নেপাল কথায় ভারতযোগ
১৯৫০ সালে রানা শাসকরা চিনের ভয়ে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী হয়, যদিও ১৯৬২ সালে ভারত চিন যুদ্দের পরে সে সম্পর্কের অবনতি হয়৷ এরপর থেকে সম্পর্ক কখনও শীতল, কখনও স্থিতিশীল থেকেছে৷ ১৯৯০ সালে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কৃষ্ণ প্রসাদ ভাট্টাই ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভি পি সিং চুক্তি স্বাক্ষর করেন৷
উত্তরণের পথে বিশ্বের অন্যতম ক্ষুদ্র আদিম টোটো জনগোষ্ঠী (পর্ব : 2)
সামাজিক রীতি টোটোরা এখনও নিজেদের সামজিক রীতিনীতিতে আবদ্ধ৷ অত্যন্ত গণতান্ত্রিক ছন্দবদ্ধ ও নিয়মানুবর্তিতায় বাধা টোটোদের সমাজজীবন৷ টোটোদের সমাজ ব্যবস্থায় দু’ধরনের …