ও মেঘের মেয়ে মেঘবালিকা, তোর চোখের জলে, কী লেখা অতলে, ছায়া ছুঁয়ে ঠিক জানি
শিল্পী: জয়দীপ গাঙ্গুলী
স্বাধীনতার কবিতাগুচ্ছ
স্বাধীনতা প্রীতম কাঞ্জিলাল স্বাধীন দেশে আমি তুমি,জানো কাদের দানে? বলতে পারো ভেবেচিন্তে,স্বাধীন হওয়ার মানে? স্বাধীন দেশে স্বাধীন তারা,যার পকেটে টাকা- …
আলোর সঙ্গে আকাশ যেথায় এক হয়ে মেলে, শুভ্র এবং নীলে
শিল্পী: জয়দীপ গাঙ্গুলী
সেইখানেতে সাদায় কালোয় মিলে গেছে আঁধার আলোয়
শিল্পী: জয়দীপ গাঙ্গুলী
চেয়ারের দিন কাল
সরকারি চাকরিতে বদলি এক অবশ্যম্ভাবী ঘটনা। বদলি যদি মনে রাখার মতো হয়,তার রেশ জীবন জুড়ে রয়ে যায়। অতীন সেই তিরানব্বই …
আকাশ দেখার গল্প
হ্যাঁ, হ্যাঁ, ছেলেবেলা থেকে আমি জানি, সন্ধেবেলা আমার বাবাকে পড়ার টেবিলের পাশে পাওয়া যায় না! খেতে বসার সময় আমার আর ওই অবুঝ প্রতিবন্ধী তোমার বড় ছেলেটার পাশে বাবার পাত পড়ে না। বিছানায় ঘুমের সময় বাবার খোলা বুকে হাত রেখে ঘুমোবার ভাগ্য করে আমরা জন্মাইনি।
বন্ধু বুদ্ধদেব
বুদ্ধদেব জীবনটা ভাগই করে রেখেছিলেন ছোট মাছের ঝোল আর ভাতে, লম্বা সিগারেট আর কাপের পর কাপ চায়ে, প্রিয় পদ্য (পড়ুন জীবনানন্দ), আর প্রিয় গদ্যে (পড়ুন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রিয় কাজ (দল করা) আর প্রিয় নিঃসঙ্গতায়। এই নিঃসঙ্গতাই উনি কাজে লাগাতেন গান শোনায়, এই নিঃসঙ্গতা থেকেই টান পেতেন বন্ধুত্বের।প্রিয় বোদলেয়ারের মতো বলতেই পারতেন, “নেভার অ্যালোন হোয়েন অ্যালোন।” নিঃসঙ্গ নই, যখন নিঃসঙ্গ।
অম্লান কুসুম
সেদিন দিব্যও পরেছিল আগুনরঙা পাঞ্জাবি৷ সকলের অনুরোধে ইন্দু গাইল, ‘মহারাজ এ কী সাজে এলে হৃদয়পুর মাঝে…’
বাইশে শ্রাবণ ও পৌরুষের অপমৃত্যু
আসলে বাঙালির চিন্তা করার শক্তি কোথাও মরে যাচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের গুটি কেটে বেরনোই যে নতুন ভারতবর্ষে রবীন্দ্রনাথকে বোঝার, তাঁর সর্বকালের আধুনিক দর্শন ও ভাবনাগুলিকে রূপায়ণ করার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, সেই কথা বাঙালি আজও জানে না।
অবন ঠাকুরের কুটুম কাটাম
ঠাকুরবাড়ির সেই বিখ্যাত দক্ষিণের বারান্দায় বসে সারাদিন কাজ করতেন অবনীন্দ্র— হাতের কাছে টেবিলে রাখা ঝুড়িভর্তি কাঠকুটো— এখান সেখান থেকে কুড়িয়ে আনা— এগুলোই হচ্ছে তাঁর পুতুল তৈরির সব উপাদন। আর সাজ-সরঞ্জাম বলতে চার ইঞ্চি করাত, ছোট মাপের বাটালি, পেন্সিল কাটার ছুরি, খেলনার হাতুড়ি ইত্যাদি।