ডায়াশঙ্খ

‘জয় ডায়াশঙ্খ’, বলে কপালে ঠেকিয়ে ছোট্ট শিশিটি নেপাল এগিয়ে ধরল খেদি মানে মালতির দিকে। মালতি নাম হলেও এ নামে কেউ …

চেয়ারের দিন কাল

সরকারি চাকরিতে বদলি এক অবশ্যম্ভাবী ঘটনা। বদলি যদি মনে রাখার মতো হয়,তার রেশ জীবন জুড়ে রয়ে যায়। অতীন সেই তিরানব্বই …

আকাশ দেখার গল্প

হ্যাঁ, হ্যাঁ, ছেলেবেলা থেকে আমি জানি, সন্ধেবেলা আমার বাবাকে পড়ার টেবিলের পাশে পাওয়া যায় না! খেতে বসার সময় আমার আর ওই অবুঝ প্রতিবন্ধী তোমার বড় ছেলেটার পাশে বাবার পাত পড়ে না। বিছানায় ঘুমের সময় বাবার খোলা বুকে হাত রেখে ঘুমোবার ভাগ্য করে আমরা জন্মাইনি।

অম্লান কুসুম

সেদিন দিব্যও পরেছিল আগুনরঙা পাঞ্জাবি৷ সকলের অনুরোধে ইন্দু গাইল, ‘মহারাজ এ কী সাজে‍ এলে হৃদয়পুর মাঝে…’

নাচো তো দেখি!

হ্যালো? কে?… ও আচ্ছা আচ্ছা! নমস্কার স্যার! প্লিজ কিছু মনে করবেন না। অচেনা নম্বর থেকে ফোন এসেছে বলে আমার গলার …

বাওয়ারের পাঞ্চালী

আমি আসায় ঘরের এক পাশে সেলাই করা অনেকগুলো চট দিয়ে একটা পর্দা টাঙানো হয়েছে৷ না, আমার ঘর হিসেবে নয়৷ পঞ্চ স্বামীর পণ্য বউয়ের আবার আলাদা ঘর কীসের! চটের পর্দা ঘেরা অংশটি আমার নারীত্ব ভোগ করার জায়গা৷ রোজ রাতে এক স্বামী চটের পর্দার এক পাশে আমাকে ভোগ করবে৷ বাকি চার স্বামী থাকবে চটের ওপাশে৷ 

ভীষ্ম পঞ্চক

গলায় রজনীগন্ধার গোড়ের মালা৷ মেহেন্দি মাখানো হাতটায় কাচের গ্লাস ধরা আছে৷ তার হাত থেকে গ্লাসটা নিয়ে ওপাশের একটা শ্বেতপাথরের ছোট্ট টেবিলটায় রাখলেন তিনি৷ তারপর আলমারি খুলে একটা চ্যাপ্টা মতো বোতলের ছিপি খুলে অনেকটা ঢাললেন সেই গ্লাসটায়৷ তারপর এক চুমুকে সবটুকু খেয়ে নিয়ে যন্ত্রণাক্লিষ্ট গলায় একবার আঃ আওয়াজ করেই হাসলেন তিনি তার দিকে তাকিয়ে৷

কৃষ্ণ গহ্বর, বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়, শনিবারের চিঠি, শারদ সংখ্যা, ১৪২৬

কৃষ্ণ গহ্বর

রূপম চেষ্টা করতে চাইলে নির্দ্বিধায় সাড়া দেয়৷ অসাড় সাড়া৷ নগ্ন, শীতল দেহ এলিয়ে পড়ে থাকা৷ মৃত্তিকার নিস্পৃহভাব একসময় হিংস্র করে তুলল রূপমকে৷ কিছুতেই মানতে পারল না সামান্য এক নারীর কাছে পরাজয়ের গ্লানি৷ শুরু হল নির্যাতন৷ কখনও যৌন উৎপীড়ন৷

চেনা অচেনার আলো ছায়া

অঞ্জনা রাত্রে বিছানা করে মশারি টাঙাতে টাঙাতে তার স্বামী সোমেশকে বলে, ‘আমি ঠিক করেছি, কিছু একটা করব, করবই৷ সবসময় তোমার …