সজনীকান্ত: রবীন্দ্রসংবেদী এক সাহিত্যসাধক

প্রচার, শ্রুতি বা ঘটনা যাই হোক না কেন, প্রকৃত সত্য হল, রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে সজনীকান্তর বিদ্রোহ, যদি কিছু থেকেও থাকে সাময়িকভাবে ‘শনিবারের চিঠি’কে কেন্দ্র করে, পরবর্তীকালে তা রূপান্তরিত হয়েছিল অকৃত্রিম ভক্তের আন্তরিক বন্দনায়৷ আর এর শ্রেষ্ঠ নিদর্শন, মৃত্যুর অল্প কিছুদিন আগে সজনীকান্তর অনবদ্য সৃষ্টি ‘রবীন্দ্রনাথ: জীবন ও সাহিত্য’ শীর্ষক গ্রন্থটি৷

অবন ঠাকুরের কুটুম কাটাম

ঠাকুরবাড়ির সেই বিখ্যাত দক্ষিণের বারান্দায় বসে সারাদিন কাজ করতেন অবনীন্দ্র— হাতের কাছে টেবিলে রাখা ঝুড়িভর্তি কাঠকুটো— এখান সেখান থেকে কুড়িয়ে আনা— এগুলোই হচ্ছে তাঁর পুতুল তৈরির সব উপাদন। আর সাজ-সরঞ্জাম বলতে চার ইঞ্চি করাত, ছোট মাপের বাটালি, পেন্সিল কাটার ছুরি, খেলনার হাতুড়ি ইত্যাদি।

গণতন্ত্র জনগনের প্রচন্ড কৌতুক

উপনিষদে একটা কথা আছে—‘ক্রুতো স্মর, কৃতং স্মর’ অর্থাৎ কী করার কথা ছিল তা স্মরণ কর এবং কী করা হয়েছে তাও স্মরণ কর। স্বাধীনতার এই আটাত্তর বছর পরে আমাদেরও আজ সেই ফিরে দেখার দিন– কী প্রতিজ্ঞা আমরা শুরু করেছিলুম এবং আজ কোথায় এসে পৌঁছেছি।

প্রথম বাঙালি মহিলা ঔপন্যাসিক

স্বর্ণকুমারী দেবী সাহিত্য কর্মে নিজের প্রতিভা উজাড় করে দিয়ে যেসব ফসল ফলিয়ে ছিলেন তার মধ্যে একটি কাহিনি নিয়ে ১৮৭৬ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দীপনির্বাণ’। জাতীয়তাবাদী ভাবনায় অনুপ্রাণিত এই লেখাটিই বাংলা সাহিত্যে কোনো বাঙালি নারী রচিত প্রথম সার্থক উপন্যাস।

সজল তিলোত্তমা

এখনও কিছু মানুষ আছে বর্ষায় যাদের বুকের মধ্যে বৃষ্টি ঝরে। বর্ষায় তারা ঘরের মধ্যেই মেঘদূত জমিয়ে তোলে। তাদের মন মেঘের সঙ্গী হয়ে উড়ে চলে কোন সুদূরে যক্ষপুরীর বন্ধগুহায়। যেখানে বন্দি হয়ে রয়েছে কোনও অতীত, গোপন প্রেমের স্মৃতি অবয়ব।মনের ভিজে ক্যানভাসের পুরনো আবছা মুখগুলো কেমন জলছবি হয়ে ফুটে ওঠে। 

গণতন্ত্রের বীরেন্দ্র

এ যেন জীবনানন্দের বেলা অবেলা কালবেলার চল্লিশ দশক। শুধু রক্ত আর রক্ত বমিতে শেষ একটা তরুণ প্রজন্ম। শিক্ষার সিঁড়িতে রক্তের দাগ। বোধের মৃত্যু ঘটেছে। ক্ষমতা দখলের রাজনীতিতে রাক্ষসও পরাজিত। শুধু বাহবা পাবার ইচ্ছা। অবক্ষয়ের উন্নয়ন। কেউ থামবে না। কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাই সংঘবদ্ধ বিদ্রোহের ডাক দেন। গণ চেতনার ডাক দেন। বিপ্লবের মধ্যেই উত্থান। দরকারে ছিনিয়ে নিতে হবে নিজেদের অধিকার। 

নৈসর্গিক কথাশিল্পীর সাহিত্যচর্চা

প্রকৃতির বর্ণনার মধ্য দিয়ে বিভূতিভূষণ আমাদের গভীর জীবনদৃষ্টিকেও তুলে ধরেছেন। তবে তাঁর রচনায় নিম্ন মধ্যবিত্ত বাঙালির জীবনচিত্র ও সমকালের আর্থসামাজিক বাস্তবতাও সমভাবে উন্মোচিত হয়েছে। তাই বাংলা কথাসাহিত্যে মানুষের ব্যথার কথা বলে শরৎচন্দ্রের পরে বিভূতিভূষণই সর্বাপেক্ষা সাহিত্যিকের মর্যাদা পেয়েছেন। 

নেপাল কথায় ভারতযোগ

১৯৫০ সালে রানা শাসকরা চিনের ভয়ে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে‍ আগ্রহী হয়, যদিও ১৯৬২ সালে ভারত চিন যুদ্দের পরে সে সম্পর্কে‍র অবনতি হয়৷ এরপর থেকে সম্পর্ক কখনও শীতল, কখনও স্থিতিশীল থেকেছে৷ ১৯৯০ সালে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কৃষ্ণ প্রসাদ ভাট্টাই ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভি পি সিং চুক্তি স্বাক্ষর করেন৷

ডাক্তার ও কবিরাজ অসুস্থ বিধান রায় – চিকিৎসক শৈলেশ সেনগুপ্ত

আগাগোড়া বিধানবাবুকে ভালো করে দেখলেন কবিরাজ মশাই, বিধানচন্দ্র তখন যন্ত্রণায় ঘামছেন। কবিরাজ মশাই হাঁক পাড়লেন-এক্ষুনি গরম জল আর সাবান চাই।