প্রতিমা দর্শন বনাম দুর্গোৎসব যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধির চোখে

বাংলায় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও ভূগোলের পাঠ্যবই ছাড়াও তিনি পুরাতত্ত্ব, প্রত্নতত্ত্ব বহু বিষয়ে প্রচুর লিখেছেন এবং হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়েরও আগে বাংলা শব্দকোষ রচনা করেছিলেন। মুদ্রণের সুবিধার জন্য বাংলা হরফকে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের ও জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অসাধারণ এক ইতিহাস লিখেছিলেন।

বন্ধু বুদ্ধদেব

বুদ্ধদেব জীবনটা ভাগই করে রেখেছিলেন ছোট মাছের ঝোল আর ভাতে, লম্বা সিগারেট আর কাপের পর কাপ চায়ে, প্রিয় পদ্য (পড়ুন জীবনানন্দ), আর প্রিয় গদ্যে (পড়ুন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রিয় কাজ (দল করা) আর প্রিয় নিঃসঙ্গতায়। এই নিঃসঙ্গতাই উনি কাজে লাগাতেন গান শোনায়, এই নিঃসঙ্গতা থেকেই টান পেতেন বন্ধুত্বের।প্রিয় বোদলেয়ারের মতো বলতেই পারতেন, “নেভার অ্যালোন হোয়েন অ্যালোন।” নিঃসঙ্গ নই, যখন নিঃসঙ্গ।

বাইশে শ্রাবণ ও পৌরুষের অপমৃত্যু

আসলে বাঙালির চিন্তা করার শক্তি কোথাও মরে যাচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের গুটি কেটে বেরনোই যে নতুন ভারতবর্ষে রবীন্দ্রনাথকে বোঝার, তাঁর সর্বকালের আধুনিক দর্শন ও ভাবনাগুলিকে রূপায়ণ করার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, সেই কথা বাঙালি আজও জানে না।

ভাবনায় অবনীন্দ্রনাথ

…চমকে মুখ তুলে চেয়ে দেখি সামনে আকাশ লাল টকটক করছে, সূর্যোদয় হচ্ছে। সে কী রঙের বাহার, মনে হল যেন সৃষ্টিকর্তার গায়ে জ্যোতি ছড়িয়ে দিয়ে সূর্যদেব উদয় হচ্ছেন। সৃষ্টিরক্ষার এ প্রভা চোখ মেলে না দেখে আমি কিনা চোখ বুজে তাঁকে দেখতে চেষ্টা করছিলুম। সেদিন বুঝলুম আমার রাস্তা এ নয়; চোখ বুজে তাঁকে দেখতে যাওয়া আমার ভুল। শিল্পী আমি, দু’চোখ মেলে তাঁকে দেখে যাব জীবনভোর।

রবীন্দ্রনাথ ও অবিনাশচন্দ্র ঘোষাল

শরৎচন্দ্রের মৃত্যুর দিন (১৬ জানুয়ারি) শোকে মূহ্যমান কবির বক্তব্য অথবাতার দু’দিনের মধ্যে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর উপাচার্য শ্রীযুক্ত চারুচন্দ্রদত্তের সভাপতিত্বে শোক-সভা সেই শ্রদ্ধাকেই আরও স্থায়ী করে। প্রসঙ্গত বলেরাখা ভাল, অধ্যাপক গুরুদয়াল মল্লিক সেই সভায় গুরুদেবের নির্দেশ মতোঘোষণা করেন, ‘পরলোকগত মহাত্মার প্রতি সম্মানেরনিদর্শনস্বরূপ…আগামী সোমবার প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকিবে।’

দেবী চৌধুরাণী থেকে প্রফুল্ল

দেবী চৌধুরাণী থেকে প্রফুল্ল

ইংরেজি ১৮৮২ সাল৷ সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তখন উড়িষ্যা রাজ্যের জাজপুরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টরের পদে আসীন৷ জাজপুরে থাকাকালীন বঙ্কিমচন্দ্র …

রবীন্দ্রনাথের ছবি‍

শব্দের ধ্বনি ও ছন্দ নিয়ে সারাজীবন খেলা করে ৬৭ বৎসর বয়সে রবীন্দ্রনাথ নিঃশব্দ রেখার ছন্দ নিয়ে খেলা শুরু করেন৷ যখন …

পাশ্চাত্যে রবি‍-কবি‍ নোবেল প্রাইজের আগে ও পরে

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ইংরাজি গীতাঞ্জলি রচনা লন্ডনে ১৯১৩ সালের মার্চ মাসের পয়লা পুস্তকাকারে ম্যাকমিলান কোম্পানি প্রকাশ করে এবং তার সাত মাসের …

তালধ্বজ ও রবীন্দ্র-শতাব্দী উৎসব

শান্তিনিকেতনে আশ্রমের প্রধান তোরণ—যেখানে উপনিষদের মন্ত্রটি লেখা, তার ঠিক পাশেই আছে ছোট্ট একটি কুটীর। উন্নতচূড় ঋজু একটি তালগাছকে ঘিরে খড়ে ছাওয়া তালধ্বজ গৃহ— সেই বলিষ্ঠ তালতরু “ঠিক তার মাথাতে গোলগোল পাতাতে” কবির যে ইচ্ছাটি মেলে আছে, আজ নিতান্ত প্রয়োজনে পড়ে সে কথাটি এখানে আলোচনা করব।