তুমি ছুঁয়ে দিলেই ভেঙে ফেলতে পারি কাঁটাতার

তুমি ছুঁয়ে দিলেই আমি আকাশ হতে পারি

তুমি ছুঁয়ে দিলেই আমি হতে পারি নক্ষত্র ধ্রুবতারা

তুমি ছুয়ে দিলে আমি অযুতবর্ষের সূর্যালোক থেকে

এনে দিতে পারি তোমার আঁচলে সোনালী রোদের মিহিদানা

চাঁদ জোৎস্নার স্ট্যাচু থেকে পেলব এনে গড়তে পারি তোমার মৃন্ময়ী প্রতিমা

হাজার বছরের বরফ গলা নদী থেকে

আমার বুকে করতে পারি ভালোবাসার মাউন্ট এভারেস্ট

মিশরের মমি থেকে খুঁজে খুঁজে

কুড়িয়ে আনতে পারি তোমাকে অজস্র ভালোবাসার নিদর্শন,মমি

হরপ্পা মহেঞ্জোদারো ঘুরে ঘুরে

তোমার আমার ভালবাসার মিলনের গর্ভজাত প্রত্যয় বের করে আনতে পারি

কোটি কোটি বছরের পুরানো মানুষের ক্রোমোজোম, গর্ভাশয়, ভ্রূণ

৩০ লক্ষ কোটি বছর পেরিয়ে গিয়ে তোমার অস্তিত্বকে আলিঙ্গন করতে পারি ভীমবেটকার গুহায়

গ্রিসের অ্যাপোলোতে জিউসের স্মরণ সভায় তোমার প্রার্থনায় নতজানু হয়ে বলতে পারি আমি তোমাকে ভালোবাসি।

তুমি ছুঁয়ে দিলে আবার পৃথিবীতে জন্ম ঘটাতে পারি

গ্যালিলিও, আর্কিমিডিস, প্লুটো, সক্রেটিস, ল্যাভিয়েস, পিথাগোরাস, কোঁৎ, রুশো, ভলতেয়ার।

তুমি ছুয়ে দিলেই আমি হতে পারি ধ্রুবতারা

তুমি ছুঁয়ে দিলেই পৃথিবীতে আবার ফিরে আসবে

রবীন্দ্রনাথ!

তোমার ভালোবাসার ঐশ্বর্যে

আমি আবার ফিরে পেতে পারি লেনিনের ভূস্বর্গ, স্ট্যালিনের প্রত্যয়, মাও সে তুংয়ের চেতনা

লিওনার্দো দা ভিঞ্চির আঁকা তুলি

মোনালিসার হাসি!

ম্যাক্সিম গোর্কির মায়ের মুখে তুলে দিতে পারি সাদা সাদা গরম ভাত।

তুমি ছুয়ে দিলেই আমি নিঃসর্গ হতে পারি

প্রেম ও দ্রোহের নিঃসর্গের কবি পাবলো নেরুদার বুকের পাঁজর খুলে খুলে

তোমাকে রচনা করতে পারি পূর্ণিমার আলোতে

অপূর্ব কবিতা

অক্ট্যাভিউ প্যাজ, লোরকা, চে গুয়েভারার কলম থেকে তুলে আনতে পারি দেশপ্রেম, ভালবাসা, মানুষের স্বাধীনতা।

তুমি ছুঁয়ে দিলেই আমার বুকের ভেতর রাখতে পারি

আমার স্বদেশ ভূমি, আমার স্বাধীনতা আমার মুক্তিযুদ্ধ

আমার বেঁচে থাকার লড়াই,

আমার দেশ আমার মাতৃভূমির মানচিত্র!

তুমি ছুঁয়ে দিলেই

দেশ কাল সাম্প্রদায়িক বিভেদ ব্যবচ্ছেদ ভুলে

ধর্মের বিষ দাঁত উপরে ফেলে

সৃষ্টি করতে পারি শুধু মানুষের মানবিকতায় একটা সুন্দর পৃথিবী

তুমি ছুঁয়ে দিলেই

আমি ভেঙে ফেলতে পারি সমগ্র বিশ্বের কাঁটাতার!