manju de and pradip kumar

শতবর্ষের স্মরণে মঞ্জু দে ও প্রদীপকুমার

দেশের অন্যতম মহিলা চিত্রনির্মাতা এবং প্রতিভাময়ী অভিনেত্রী মঞ্জু দে’র কথা কতটা মনে রেখেছে বাঙালি! মঞ্জু দে অভিনীত, ‘কার পাপে’, ‘উপহার’, ‘৪২’, ‘কাবুলিওয়ালা’, ‘বৌ ঠাকুরানীর হাট’, ‘পুনর্মিলন’, ‘লৌহকপাট’ ইত্যাদি ছবিগুলো হয়ত অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল মঞ্জু দে পরিচালিত, ‘অভিশপ্ত চম্বল’, ‘সজারুর কাঁটা’ ইত্যাদি ছবিগুলোর প্রিন্ট আজ আর পাওয়া যায় না!
অন্যদিকে বাংলার প্রদীপ বটব্যাল আর মুম্বইয়ের প্রদীপকুমার যিনি কালজয়ী সব ছবির নায়ক, তিনিও কিন্তু বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গিয়েছেন! বাংলায়, ‘ভুলি নাই’, ‘৪২’, হিন্দিতে, ‘নাগিন’, ‘আনারকালী’, ‘রাজিয়া সুলতানা’, ‘পুরানা মন্দির’, ‘ইহুদি কি লাড়কি’, ‘তাজমহল’, ‘প্লট নম্বর ফাইভ’, ‘দো দিলো কি দাস্তান’, ‘আরতি’ প্রভৃতি ছবিতে প্রদীপকুমার তাঁর স্বতন্ত্র অভিনয়শৈলী দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছিলেন। মুম্বইতে জীবনের অনেকটা সময় কাটলেও শেষে ফিরে এসেছিলেন নিজের বাংলাতেই। কলকাতাতেই জীবনাবসান হয় তাঁর। তাঁর কাজ নিয়েই বা কতটুকু আলোচনা হয়!

মঞ্জু দে এবং প্রদীপকুমার, দুজনেরই জন্মশতবর্ষ চলছে নীরবে। এই দুই বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বকে তাঁদের জন্মশতবর্ষে শ্রদ্ধা জানিয়ে বালি সিনে গিল্ড সম্প্রতি আয়োজন করেছিল দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের। প্রথমদিন প্রদর্শিত হয় হেমেন গুপ্ত পরিচালিত ‘৪২’ ছবিটি। সঙ্গে ছিল আলোচনা, অংশগ্রহণ করেন বর্ষিয়ান সাংবাদিক নির্মল ধর এবং তপন সিংহ ফাউডেশন-এর সম্পাদক অরিজিৎ মৈত্র। আলোচনাচক্র পরিচালনা করেন কমলেন্দু সরকার। বক্তাদের হাতে বালি সিনে গিল্ড প্রকাশিত, ‘শতবর্শীনয়ন-প্রসঙ্গ চলচ্চিত্র এবং’ বইটি তুলে দেওয়া হয়।

নির্মল ধর মূলত প্রদীপকুমার এর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত পরিচিত ও ছবির প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। অরিজিৎ মৈত্র মঞ্জু দে অভিনীত ছবির সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। দ্বিতীয় দিনে প্রদর্শিত হয় মানু সেন নির্মিত, ‘পুনর্মিলন’ ছবিটি এবং মোহাম্মদ সাদিক পরিচালিত হিন্দি ছবি, ‘তাজমহল’।