শিরদাঁড়া এক আজব যন্ত্র, তৈরি হাড় দিয়ে,
তারে নিয়েই টানাটানি সব, বিচার তাই নিয়ে।
শিরদাঁড়া নাকি কোনোটা শক্ত, কোনোটা অতি নরম,
বুদ্ধিজীবীর শিরদাঁড়া নিয়ে উত্তেজনা চরম!
কোনো শিরদাঁড়া গিয়েছে বিকিয়ে, কোনোটা নাকি ভাঙা,
শিরদাঁড়াতেও রঙ লেগে থাকে, গেরুয়া-নীল-রাঙা।
শিরদাঁড়া নিয়ে জল ঘোলা হয়, শিরদাঁড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব,
শিরদাঁড়াখানা বিকিয়ে গেলে,তাই নিয়ে গালমন্দ।
কারো শিরদাঁড়া ঝুঁকে যায় বেগে, তাই নিয়ে রাগারাগি,
শিরদাঁড়া নাকি নিলামেও চড়ে, বাজারেতে ভাগাভাগি।
হাড়ের ভিতর থাকে কি বিবেক? বলে সব মেরুদন্ড!
বিবেকের আজ কিবা পরিচয়, শিরদাঁড়া হয় পন্ড।
মেরুদন্ডের কিবা সম্মান, গিরগিটি কিংবা মানুষে !
হাড়গোড় যদি বেঁধে ভরে দাও, বেলুনে কিংবা ফানুসে।
যেই শিরদাঁড়া মিশে যায় রঙে,আপসেতে নুয়ে চলে,
বনমানুষ আজ মানুষ হয়েছে, মেরুদন্ডেরই বলে।
মেরুদন্ডকে বন্ধক রেখে, কিবা পাবে এই ভুঁয়ে?
আপসের এই অর্জন বৃথা, মেরুদণ্ডকে নুয়ে।