বৈতানিক-এর শতকন্ঠে রবীন্দ্রপ্রণাম

বৈতানিক রবীন্দ্রসংস্কৃতির একটি বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠান। কবিগুরুর প্রয়াণের পর তার অগ্রজ দ্বিজেন্দ্রনাথের পৌত্র সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে সাতই আগস্ট ১৯৪৮ বৈতানিক সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে সৌমেন ঠাকুর ও শ্রীমতি ঠাকুরের ৪এ, এলগিন রোডস্থ ভবনে স্থানান্তরিত হয় বৈতানিক। ১৯৪৯ সালে সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুরই প্রথম সর্বসমক্ষে আলোচনা সহযোগে রবীন্দ্রগানের প্রচলন করেছিলেন যা  সুদীর্ঘ ৭৭ বছর ধরে আজও ঐতিহ্য রক্ষা করে চলেছে বৈতানিক। 

বৈতানিক-এর ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর থেকেই যোগ হয়েছে শতকন্ঠে রবীন্দ্র প্রণাম। ঐতিহ্য অনুসারে এই বছরও সেই ধারা অব্যাহত রাখা হল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির মহর্ষি ভবনে ‘হে মোর দেবতা’ শীর্ষক সংগীতালেখ্যটি বৈতানিকের শতাধিক সদস্যের পরিবেশিত সংগীতের মাধ্যমে। কল্যাণী ঘোষ ও  সব্যসাচী হাজরার দ্বৈত কন্ঠে গীত ‘হে মোর দেবতা’ গানটি দিয়ে সূচনা হয়। 

এরপর সমবেত কন্ঠে পরিবেশিত হয় মোট কুড়িটি গান ‘সুন্দর বটে তব’ ‘উড়িয়ে ধ্বজা অভ্রভেদী রথে’ ‘প্রতিদিন আমি হে জীবনস্বামী’ তন্দ্রা ঘোষ ও রাজশ্রী পাইন এর দ্বৈত কন্ঠে ‘আমার হিয়ার মাঝে’ কচিকাচাদের কন্ঠে ‘আজ ধানের ক্ষেতে’ ইত্যাদি আরও গান পরিবেশিত হয়। একক গানে রাজদীপ বসাকের গাওয়া ‘তোমার সোনার থালায়’ ও ডক্টর বনানী দে’র অনিন্দ্য কন্ঠে গাওয়া ‘কে বসিলে আজি’ অপূর্ব। 

অনুষ্ঠানটিতে কর্ণধার বিপ্লব বসুর তথ্য সহযোগে আলোচনা শ্রোতাদের পরম প্রাপ্তি। যন্ত্রসঙ্গীতে সহযোগিতা করেন এসরাজে প্রীতম চক্রবর্তী, তালবাদ্যে বাসুদেব চক্রবর্তী ও পিন্টু হালদার। সমগ্র সংগীত অনুষ্ঠানটি সুচারুরূপে পরিচালনা করেন ডক্টর বনানী দে।