

বিয়ের কথা এগিয়ে চলল৷ ৯ জুলাই ১৯৪৮— পরিচয়ের খুব তাড়াতাড়িই তাঁদের বিয়ে হল— কোনও সমারোহ ছাড়াই৷ বসুর পক্ষে তো কেউই নেই, কনে পক্ষের আত্মীয়স্বজনরাও কেউ এলেন না৷ খুব একটা সাধারণ পোশাক পরে বাবার সঙ্গে ট্রামে চড়ে তোসিকো তোয়ামার বাড়িতে এলেন৷ তাকাশিমারায় ডিপার্টমেন্ট স্টোর থেকে কিনে আনা ওয়েডিং কিমোনো পরিয়ে দিলেন শ্রীমতী তোয়ামা৷
গীতিকার পবিত্র মিত্রের কথায় নবাগত এক সুরকার ‘আকাশ প্রদীপ জ্বলে দূরে তারার পানে চেয়ে’ গানটি সুর দেওয়ার পর ভাবলেন পান্নালাল …
মহারাণী ভিক্টোরিয়া ও দ্বারকানাথের প্রীতিসম্পর্ক ঘিরে নানা গল্প প্রচলিত আছে ।দ্বারকানাথের রূপ, ঐশ্বর্য ও প্রতিভার সঙ্গে শিভালরিও যুক্ত হয়ে তাঁর মনোহারিত্ব প্রবল করেছিল।মহারাণীর দরবারে ও অভিজাত সমাজে দ্বারকানাথের প্রভাব প্রতিপত্তি দেখে ইস্ট ইন্ডিয়ার ডিরেক্টররা আতঙ্কিত বোধ করেন ।
হ্যালো? কে?… ও আচ্ছা আচ্ছা! নমস্কার স্যার! প্লিজ কিছু মনে করবেন না। অচেনা নম্বর থেকে ফোন এসেছে বলে আমার গলার …
আমি আসায় ঘরের এক পাশে সেলাই করা অনেকগুলো চট দিয়ে একটা পর্দা টাঙানো হয়েছে৷ না, আমার ঘর হিসেবে নয়৷ পঞ্চ স্বামীর পণ্য বউয়ের আবার আলাদা ঘর কীসের! চটের পর্দা ঘেরা অংশটি আমার নারীত্ব ভোগ করার জায়গা৷ রোজ রাতে এক স্বামী চটের পর্দার এক পাশে আমাকে ভোগ করবে৷ বাকি চার স্বামী থাকবে চটের ওপাশে৷
গলায় রজনীগন্ধার গোড়ের মালা৷ মেহেন্দি মাখানো হাতটায় কাচের গ্লাস ধরা আছে৷ তার হাত থেকে গ্লাসটা নিয়ে ওপাশের একটা শ্বেতপাথরের ছোট্ট টেবিলটায় রাখলেন তিনি৷ তারপর আলমারি খুলে একটা চ্যাপ্টা মতো বোতলের ছিপি খুলে অনেকটা ঢাললেন সেই গ্লাসটায়৷ তারপর এক চুমুকে সবটুকু খেয়ে নিয়ে যন্ত্রণাক্লিষ্ট গলায় একবার আঃ আওয়াজ করেই হাসলেন তিনি তার দিকে তাকিয়ে৷
ঈশ্বর তুমি ঘুমিয়ে আছো? আর কতকাল… এমনি করে মুখটি বুঁজে ওপাশ ফিরে, থাকবে শুয়ে? বয়স তোমার অনেক হল, দৃষ্টিশক্তি কমেও …
বিপজ্জনক সেতুর সংকেত নিয়ে পড়ে আছে একূলে ওকূলে! দেহের ফলকে সময়ের অক্ষর জ্বলে পড়ে আছি নেশার ঘোরে ছন্দ পতনের নীচে। …
ঈশ্বর কণার চেয়ে সূক্ষ্ম অস্তিত্বের খোঁজে যতদূর স্পন্দন অনুভূত হয় তেমন প্রগাঢ় নিশ্বাসে তুমি মিশে আছ আমি ভুল করি বারবার …
স্বর্ণকুমারী দেবী সাহিত্য কর্মে নিজের প্রতিভা উজাড় করে দিয়ে যেসব ফসল ফলিয়ে ছিলেন তার মধ্যে একটি কাহিনি নিয়ে ১৮৭৬ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দীপনির্বাণ’। জাতীয়তাবাদী ভাবনায় অনুপ্রাণিত এই লেখাটিই বাংলা সাহিত্যে কোনো বাঙালি নারী রচিত প্রথম সার্থক উপন্যাস।