কাজী নজরুল ইসলাম

কাজী নজরুল ইসলাম সম্প্রীতির অগ্রদূত

বাঙালি মুসলমানরাও যে উচ্চমানের বংলা লিখতে পারে, তার প্রমাণ দেন কাজী নজরুল ও মুজফ্‌ফর আহমদ ‘নবযুগ’ পত্রিকায়৷ কিন্তু বেশিদিন সেটা চলেনি৷ রাজরোষে পড়ে বন্ধ হয়ে যায়৷ কিন্তু কাজী নজরুল বসে থাকার মানুষ নয়৷ ১৯২২ সালে প্রকাশ করলেন ‘ধূমকেতু’৷ রবীন্দ্রনাথকে আশীর্বাদ পাঠাবার অনুরোধ করলেন৷ একটু দেরিতে হলেও কবি আশীর্বাদ পাঠালেন ছোট কবিতা দিয়ে৷ পত্রিকায় সেটি প্রথম ছাপা হল৷

বিদ্রোহী কবি

তোমার গান শুনতে শ্যামা আজও আসেন নেমে– লেখায় তোমার জাত ধুয়ে যায়, বজ্জাতি যায় থেমে। কোন বাংলার কবি তুমি,তাই নিয়ে …

পাশ্চাত্যে রবি‍-কবি‍ নোবেল প্রাইজের আগে ও পরে

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ইংরাজি গীতাঞ্জলি রচনা লন্ডনে ১৯১৩ সালের মার্চ মাসের পয়লা পুস্তকাকারে ম্যাকমিলান কোম্পানি প্রকাশ করে এবং তার সাত মাসের …

পূর্ববঙ্গ ও রবীন্দ্রনাথ

রক্তাক্ত দেশভাগ সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথের গান তাঁর একদা কর্মভূমি পূর্ববঙ্গে প্রাণের গান হয়ে ওঠে৷ সেই গান হয় প্রতিবাদের ভাষা, পূর্ববঙ্গের নিজের সংস্কৃতিকে ফিরে পাওয়ার আশা, ও সর্বোপরি আত্মপরিচয়কে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠা করার প্রবল সক্রিয়তা৷

পঁচিশে বৈশাখ

পুন এল পঁচিশে বৈশাখ৷ একাশি বছর আগে এই দিন এসেছিল এমনি অস্থির সমারোহে— “নটলীলা-বিধাতার নব নাট্যভূমে উঠে গেল যবনিকা৷ শূণ্য …

তালধ্বজ ও রবীন্দ্র-শতাব্দী উৎসব

শান্তিনিকেতনে আশ্রমের প্রধান তোরণ—যেখানে উপনিষদের মন্ত্রটি লেখা, তার ঠিক পাশেই আছে ছোট্ট একটি কুটীর। উন্নতচূড় ঋজু একটি তালগাছকে ঘিরে খড়ে ছাওয়া তালধ্বজ গৃহ— সেই বলিষ্ঠ তালতরু “ঠিক তার মাথাতে গোলগোল পাতাতে” কবির যে ইচ্ছাটি মেলে আছে, আজ নিতান্ত প্রয়োজনে পড়ে সে কথাটি এখানে আলোচনা করব।

উড়িয়ে দাও নিঃসীমে

চৈত্র শেষের ঝরা পাতা,মিহিধুলো অভিমান নিয়ে,মিশে যেতে চেয়েছিল, তোমার নিঃশ্বাসে– বর্ষপঞ্জির শেষ পাতা অপেক্ষায় ছিলকখন তুমি সাজাবে নতুন বেশে।মঙ্গল ঘটে …

মাটির গভীরে

আমার মৃত্যুর পরে আমাকে জ্বালিয়ে দেবে না।এই প্রিয় চিরচেনা পৃথিবীর বুকের ভিতরে রেখে দিয়ো, পুড়িয়ে দিয়ো না।এই মাটি থেকে গাছ …