Sanibarer Chithi - Variety Recipes

ব্রিটিশ রসনায় বিফ

গোমাংস বা Beef খেতে অভ্যস্ত ব্রিটিশরা ভারতে এসে দেখল তাদের নিজেদের কাছে কোরিয়ার মানুষদের কুকুরের মাংস খাওয়া অথবা ফরাসিদের ঘোড়ার মাংস খাওয়া যতটাই কুরুচিকর ঠিক তেমনটাই ভারতীয় হিন্দুদের কাছে গোমাংস ভোজন ন্যক্কারজনক।

Sanibarer Chithi - Variety Recipes

বিদেশি রসনায় দেশীয় পক্ষী

প্রাথমিক পর্যায়ের বৃটিশ আমলে ভ্রাম্যমান রাজকর্মচারীদের নির্ভর করতে হত ক্যাম্প বা শিবিরের কাছাকাছি বসতিসম্পন্ন গ্রামগুলির ওপর৷ তরি‍-তরকারি, দুধ জোগাত হিন্দু …

Sanibarer Chithi - Dal With Different Flavors

ভিন্নস্বাদে ডাল

‘ডাল’ শব্দটি বিদেশি উচ্চারণ ও বানান হয়ে গেল ‘Dholl’.ভারতীয়দের রোজকার খাদ্য তালিকায় “ডাল’-এর উপস্থিতি ব্রিটিশদের কাছে যথেষ্ট অভিনব ও আকর্ষক …

প্রথমপাতের স্যুপ

রবিবারে Lunch Party বা মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করার প্রধান কারণ ছিল যে সেটা ছুটির দিন৷ পুরুষরা সেদিন কাজে যেতেন না এবং গৃহিনীরাও সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতে তাস খেলা বা নিজেদের বন্ধুদের নিয়ে স্যান্ডউইচ বা স্টাফড টমেটো জাতীয় হালকা খাবারের Tiffin Party নিয়ে মশগুল থাকতেন না৷

রাজভোজ (দ্বিতীয় পর্ব)

‘খিচরি’‍ অন্যতম আদি ভারতীয় পদবিশেষ যার সংস্কৃত নাম ‘কৃশর’৷ কয়েক হাজার বছর ধরে সমানভাবে‍ উপভোগ্য আজকের ‘খিচুড়ি’ চাল, ডাল, ঘি, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, তরকারি, তেজপাতা ও অন্যান্য মশলার সঙ্গে সেদ্ধ করে তৈরি হয়ে থাকে৷ যদিও প্রাদেশিক প্রকারভেদে স্বাদের বিভিন্নতায় উপকরণ কিছু কিছু অন্যরকম৷ ইংরেজরা ডালের বদলে মাছ, মাংস ও ডিমের টুকরোর সঙ্গে মাখনের মিশেলে চাল দিয়ে চিরাচরিত পদটির নাম নিজেদের উচ্চারণে তৈরি করলেন ‘kedgree’৷ শুধু তাই নয়, অষ্টাদশ শতকে এর রন্ধন প্রণালী ব্রিটেনে পৌঁছে‍ যথেষ্ট তৃপ্তিকর হিসেবে জনপ্ৰিয় হয়ে উঠেছিল৷ রানি ভিক্টোরিযা এবং তাঁর পুত্র এডওয়ার্ড-এর আমলে ইংল্যান্ডের গ্রামের গৃহকোণে খাবার টেবিলে সকালের জলখাবারে ভাজা মাছ ও ডিমের কোনও পদের পাশে এই kedgree স্থায়ী একটা জায়গা পেয়ে গিয়েছিল৷

রাজভোজ (প্রথম পর্ব )

ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকতার আগে ভারতীয় রান্নায় ঝাল স্বাদ আনার জন্য লঙ্কার ব্যবহার জানা ছিল না। প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যে উল্লেখ আছে ‘আদ্রক’ বা আদা এর ‘রুচীর’ অর্থাৎ লবঙ্গ-এর। ১৫০১ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগীজরা Calikat এবং  Cochin-এ লংকার প্রচলন করে।